Advertisement
E-Paper

হাজার পড়ুয়া ধুয়ে দিলেন মায়ের পা, খাইয়ে দিলেন নিজের হাতে, আবেগবিহ্বল নীলফামারি

‘মাদার্স ডে’ এখনও অনেক দেরি। সেই মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারে। কিন্তু নীলফামারির কলেজটা জানুয়ারির শেষ সোমবারেই মায়েদের কলেজ হয়ে উঠল। হাজার পড়ুয়া সার দিয়ে বসে পা ধুয়ে দিলেন মায়েদের। খাইয়ে দিলেন নিজের হাতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ১৪:৪৬
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

‘মাদার্স ডে’ এখনও অনেক দেরি। সেই মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারে। কিন্তু নীলফামারির কলেজটা জানুয়ারির শেষ সোমবারেই মায়েদের কলেজ হয়ে উঠল। হাজার পড়ুয়া সার দিয়ে বসে পা ধুয়ে দিলেন মায়েদের। খাইয়ে দিলেন নিজের হাতে।

নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘পেরেন্টস ডে’ উদযাপন আজকাল আর কোনও বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু শুধু মায়েদের জন্যও যে একটা দিনকে উৎসর্গ করা যেতে পারে, এমনটা ক’জন ভাবেন? নীলফামারির সৈয়দপুর থানা এলাকার সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আমির আলি আজাদ ভেবেছেন। করেও দেখিয়েছেন।

কলেজ চত্বরেই মায়েদের সম্মান জানানোর এই বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। হাজার খানেক পড়ুয়া প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রত্যেকের মা আমন্ত্রিত ছিলেন। কলেজ প্রাঙ্গণে নিজের হাতে মায়ের পা ধুয়ে দিয়ে প্রত্যেক পড়ুয়ার অঙ্গীকার— সারা জীবন এ ভাবেই মায়ের মর্যাদা রক্ষা করবেন। তার পর নিজের হাতে মাকে খাইয়ে দিয়ে শপথ— আজীবন এ ভাবেই যত্নে রাখবেন।

আরও পড়ুন: লক্ষ্য সুদূর পর্যন্ত, নতুন প্রজন্মকে দ্রুত তুলে আনতে চান হাসিনা

শুধু পড়ুয়া আর মায়েরা হাজির হয়েছিলেন অনুষ্ঠানে, তা কিন্তু নয়। এমন অভিবনব আয়োজন যে কলেজে হয়েছে, সে কথা সৈয়দপুরের গ্রাম-গ্রামান্তরে রটে গিয়েছিল। ফলে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন অনুষ্ঠান চত্বর ঘিরে। অনেককেই অবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে সে জমায়েতে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান তো মাদার্স ডে তেও আয়োজন করা যেত? জবাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ আর পড়ুয়ারা এক সুরে পাল্টা প্রশ্ন করছেন— মাকে সম্মান জানানোর জন্য কি কোনও বিশেষ তারিখের অপেক্ষায় থাকতে হয়?

Bangladesh Educational Institution Cekebration With Mothers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy