Advertisement
E-Paper

বছর জুড়ে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যু ১২৪০ শ্রমিকের

শুধু কাজ করতে গিয়েই বিদায়ী বছর জুড়ে বাংলাদেশে ১ হাজার ২৪০ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৪৪ জন। গত বছরের তুলনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২৮৯ জন। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেল্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৮

শুধু কাজ করতে গিয়েই বিদায়ী বছর জুড়ে বাংলাদেশে ১ হাজার ২৪০ জন শ্রমিক মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৪৪ জন। গত বছরের তুলনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২৮৯ জন। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অকুপেশনাল সেফটি, হেল্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে অনুযায়ী, চলতি বছরে প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পরিবহণ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া এ বছর বজ্রপাতে মারা যাওয়ার হার বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মারা গেছেন ৫৫ জন শ্রমিক। এঁদের বেশির ভাগই কৃষি শ্রমিক বলে জানা যাচ্ছে।
পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৬ জন। ১৪৭ জন নির্মাণ ক্ষেত্রে। পোশাক শিল্পে ৮৮ জন। কৃষি শ্রমিক মারা গেছেন ৮৭ জন। দিনমজুর ৬৯ জন। টাম্পাকো ফয়েল কারখানায় বয়লার ফেটে অগ্নিকাণ্ডে ৪৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিন জন শ্রমিক।
এ ছাড়া অন্যান্য কারখানায়, এমনকী গৃহকর্মেও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৎস শ্রমিকও আছেন কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃতদের তালিকায়।
গতকাল, শুক্রবার ঢাকার সেগুন বাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই রিপোর্ট বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তাঁরা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ফিল্ড সার্ভে থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করার পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশও তুলে ধরা হয়। শ্রম আইন নির্দেশিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বল প্রয়োগকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপর্যাপ্ত পরিদর্শন ব্যবস্থাও অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের অভাব, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞানের অভাব, কারখানায় সেফটি কমিটি গঠনের বিধানকে উপেক্ষা করা, বয়লার পরিদর্শন বিভাগের সীমাবদ্ধতা এবং গৃহকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

আরও পড়ুন...
আতঙ্কে শুরু, স্বস্তিতে শেষ, গুলশন হামলাই বাংলাদেশের টার্নিং পয়েন্ট

Workplaces Deaths Bangladesh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy