দু’মাস ধরে জেলে থাকার পরে অবশেষে সোমবার জামিনে ছাড়া পেলেন প্রত্যক্ষ বিপণন (ডিরেক্ট সেলিং) সংস্থা অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার উইলিয়াম এস পিঙ্কনি।
বেআইনি অর্থলগ্নি সংক্রান্ত ‘চিট ফান্ড’ বন্ধের আইন না-মেনে ব্যবসা করা এবং প্রতারণার অভিযোগে গত ২৬ মে গুড়গাঁওয়ে অ্যামওয়ের সদর দফতর থেকে পিঙ্কনিকে গ্রেফতার করে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। এর আগেও গত বছরে একই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল কেরল পুলিশ। পরে কুর্নুলের জেলা আদালতে পিঙ্কনিকে হাজির করা হলে সেখানেই জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। তার পর থেকেই পিঙ্কনি জেলে ছিলেন। সংস্থা জানিয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের সবক’টি মামলাতেই পিঙ্কনিকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
এ দিন পিঙ্কনি ছাড়া পাওয়ার পরে এক যৌথ বিবৃতিতে সংস্থার চেয়ারম্যান স্টিভ ভ্যান অ্যান্ডেল এবং প্রেসিডেন্ট ডাগ দি ভস জানান, “এত দিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে অ্যামওয়ে।” একই সঙ্গে সংস্থা জানিয়েছে, পিঙ্কনিকে বিনা কারণে জেলে আটকে রাখার এই গোটা ঘটনা তাঁদের পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিকর। উপরন্তু তাঁর কারাবাসের মেয়াদ এত দিন পর্যন্ত গড়ানোয় তাঁরা আরও বেশি অসুবিধায় পড়েন। ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতে অ্যামওয়ের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট সমীর বেহি বলেন, “পিঙ্কনির গ্রেফতার এবং তাঁকে এত দিন আটকে রাখাটা ছিল অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক। বিচারের সময়ে আমরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে আপ্রাণ লড়াই চালাব।”
এ দিকে, ভারতে প্রত্যক্ষ বিপণনের জন্য সুস্পষ্ট আলাদা আইন তৈরির ব্যাপারেও নতুন সরকারের সঙ্গে কথা বলবে অ্যামওয়ে, যাতে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার সঙ্গে তাদের গুলিয়ে ফেলা না-হয়। এ জন্য সহযোগিতা করতে তাঁরা তৈরি বলে জানিয়েছেন অ্যান্ডেল ও দি ভস। দীর্ঘ দিন ধরেই এ ধরনের সংস্থাগুলি এই নতুন আইন দাবি করে আসছে।
মুখ্যমন্ত্রীকে আইএনএসের আবেদন
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে বিজ্ঞাপন নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের সদস্য সংবাদপত্রগুলিকে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলল ‘দ্য ইন্ডিয়ান নিউজপেপার সোসাইটি’ (আই এন এস)। সোমবার কলকাতায় এগ্জিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পরে এক বিবৃতিতে সোসাইটি জানিয়েছে, তাদের কিছু সদস্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরে পাওনা টাকা না-মিটিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ফেলে রেখেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য সোসাইটি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ। সংবাদ মাধ্যম যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন এই ঘটনা আর্থিক ভাবে ঘোর সমস্যায় ফেলেছে ওই সব খবরের কাগজকে। তাই আর দেরি না-করে বিজ্ঞাপনের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছে সোসাইটি। এ দিন এক বিবৃতিতে সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ভি শঙ্করন এ কথা জানিয়ে বলেছেন, রাজ্য যে-ভাবে আগের জমানায় দেওয়া বিজ্ঞাপনের টাকা না-মেটানোর অবস্থান নিয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা হতাশ। তাঁদের মতে, এটি সাংবিধানিক রীতিনীতির পরিপন্থী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy