Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডব্লিউটিও চুক্তি রূপায়ণে সময় বাঁধল কেন্দ্র

এই চুক্তি বা ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট-এ যে-সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে: আমদানির নিয়ম সরল করা, দ্রুত পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা, মাল ওঠানো-নামানোর পদ্ধতি আধুনিক করা।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share: Save:

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও-র শর্ত মেনে অবাধ বাণিজ্যের দরজা আরও বেশি করে খোলার লক্ষ্যে এগোতে পথনির্দেশ স্থির করল কেন্দ্র। ১৬৪টি সদস্য দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে সই হওয়া চুক্তি রূপায়ণে এ বার সময়সীমা বেঁধে এগোতে চায় তারা।

এই চুক্তি বা ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট-এ যে-সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে: আমদানির নিয়ম সরল করা, দ্রুত পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা, মাল ওঠানো-নামানোর পদ্ধতি আধুনিক করা।

চুক্তিটি রূপায়ণে গত বছর কেন্দ্র ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে গড়ে এই সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। এ বার সরকারি উদ্যোগেই তৈরি হয়েছে চুক্তি রূপায়ণের পথনির্দেশ বা ন্যাশনাল ট্রেড ফেসিলিটেশন অ্যাকশন প্ল্যান। এর সময়সীমা ২০১৭-২০২০। তার মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে কোন কোন প্রস্তাব স্বল্প (০-৬ মাস), মাঝারি (৬-১৮ মাস) ও দীর্ঘ মেয়াদে (১৮-৩৬ মাস) রূপায়ণ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে তৈরির পর থেকেই ডব্লিউটিও-র প্রধান লক্ষ্য পৃথিবী জুড়ে বাণিজ্য যথাসম্ভব অবাধ করা। কর ও পরিমাণগত বিধিনিষেধ সরল করে ধাপে ধাপে সেই লক্ষ্যে এগোনো। ২০১৪ সালে ডব্লিউটিও সদস্যরা সিলমোহর দেয় ওই ট্রেড ফেসিলিটেশন এগ্রিমেন্ট-এ।

কখন কী

• স্বল্প মেয়াদে লক্ষ্য, দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এমন পণ্য মজুতের ব্যবস্থা উন্নত করা। এ ধরনের আমদানি পণ্যকে ছাড়পত্র দিতে হবে দেশে আসার ১২ ঘণ্টার মধ্যে। রফতানি পণ্যের জন্য তা ৮ ঘণ্টা


• মাঝারি মেয়াদে সব তথ্য ইন্টারনেটে রাখতে হবে। একজানলা ব্যবস্থায় একটি পোর্টাল মারফত তা জানা যাবে


• দীর্ঘ মেয়াদে বাণিজ্যে বাধা ভাঙতে আরও ব্যবস্থা


• নেটে বাণিজ্য সরল করতে নথিপত্র দাখিলে কড়াকড়ি কমানোর প্রস্তাব

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE