এক যুবতীকে মোটরবাইকের পিছনে বসিয়ে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের দিকে যাচ্ছিল এক যুবক। উড়ালপুলের ওঠার আগে একটি বেসরকারি বাস বামদিকে চেপে দেয় ওই মোটরবাইকটিকে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই যুবতী সহ মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েন ওই যুবক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে ওই ঘটনাটি ঘটেছে নিউ মার্কেট থানা এলাকায় জহরলাল নেহেরু রোড এবং লিন্ডসে স্ট্রিটের কাছে। মৃত ওই যুবতীর নাম বনমিতা রায় (২১)। বাড়ি বাঁশদ্রোণিতে। বনমিতা নেতাজিনগর কলেজের বিকম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর বনমিতার সঙ্গী মোটরবাইকের চালক বিকাশ দাসকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই বেসরকারি বাসটিকে পুলিশ আটক করলেও তার চালক পলাতক।
পুলিশ জানায়, এ দিন বিকেলে বান্ধবী বনমিতাকে সঙ্গে নিয়ে নিউ মার্কট থেকে বাঁশদ্রোণি যাচ্ছিল বিকাশ। পুলিশের কাছে বিকাশ জানিয়েছে, লিন্ডসে স্ট্রিট থেকে জহরলাল নেহেরু রোডে দিয়ে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে ওঠার মুখে থ্রিডি রুটের একটি বেসরকারি বাস তাঁদের বাইকটিকে বাঁ দিকে চেপে দেয়। মোটরবাইকের গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে উল্টে পড়েন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিকাশের মাথায় হেলমেট থাকলেও বনমিতার মাথায় কোন হেলমেট ছিল না। বনমিতার দেহে কোন আঘাত নেই বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
পড়ুন তিনটি দুর্ঘটনায় ছ'ঘণ্টা স্তব্ধ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ভিতরে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন বনমিতার বাবা কুমারেশ রায়। হাসপাতালে বলে তিনি জানান, বনমিতার মা অসুস্থ। সকালে এমআর বাঙ্গুর হসপাতালে মাকে চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন বনমিতা। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মায়ের ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিলেন বনমিতা। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বাড়িতে বনমিতা বলে এসেছিল ওষুধ নিয়েই ফিরে আসবে।
পুলিশ জানায়, কুমারেশবাবু তাঁদের জানিয়েছেন তিনি ওই যুবককে চেনেন না। তবে পুলিশের দাবি, ওই যুবকের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল বনমিতার। সেই সূত্রেই ওই দু’জন এদিন ঘুরতে বেড়িয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy