প্রতিবেশীদের দরজায় বারবার ধাক্কা দিচ্ছিলেন বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি। হুড়মুড়িয়ে দরজা খুলতেই ওই ব্যক্তি তাঁর প্রতিবেশীদের জানালেন ‘মাকে গলা টিপে মেরে দিয়েছি’!
প্রথমে কথাটা শুনে হকচকিয়ে গেলেও পরক্ষণেই প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখলেন ফ্ল্যাটের ঘরের মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পরে রয়েছেন বৃদ্ধা। বারবার ডাকাডাকিতেও তিনি যখন সাড়া দিচ্ছেন না তখনও বারবার একই কথা বলে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাতে বরাহনগরের এই ঘটনার পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: ভাড়াটে শিশুকে নিয়ে ভিক্ষায় ‘মা’
পুলিশ জানায়, বরাহনগরের মিলনগড়ের বারুইপাড়া লেনের একটি আবাসনে থাকতেন অঞ্জনা চক্রবর্তী (৬২) ও তাঁর ছেলে প্রদীপ (৪০)। কয়েক বছর আগে অঞ্জনাদেবীর স্বামী মারা গিয়েছেন। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান, কোনও কাজকর্ম করতেন না প্রদীপ। তিনি মানসিক রোগগ্রস্ত ছিলেন বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘর থেকে খুব একটা না বেরোলেও মাঝে মধ্যে এলাকায় দেখা যেত ওই যুবককে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামা চট্টরাজ বলেন, ‘‘ছেলেটা মাঝেমধ্যে রাস্তায় বেরোতো। আমাদের সঙ্গেও ভালো করেই কথা বলত। কিন্তু মাঝে মধ্যেই শুনতাম ও অসুস্থ হয়ে পরেছে।’’
প্রতিবেশীরা জানান, মাঝেমধ্যেই অঞ্জনাদেবীদের ঘর থেকে চেঁচামেচি শোনা যেত। অভিযোগ, অধিকাংশ সময়েই মা-কে মারধর করতেন প্রদীপ। এ দিনও সন্ধ্যায় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাধে। কিন্তু রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ানোয় চেঁচামেচি শুনেও এ দিন আমল দেননি প্রতিবেশীরা। তবে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অবশ্য প্রদীপ নিজেই সকলকে ডেকে জানান ঘটনাটি। এ দিন গ্রেফতারের পরে পুলিশকে প্রদীপ বলেন, ‘‘রোজ ঝগড়া হত। আজও হল, তাই মেরে দিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy