দেখতে দেখতে বড় হয়ে গিয়েছে আদরের মেয়ে। পাত্র খুঁজতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন বাবা-মা, মাসি-পিসি, মামা-কাকা সকলেই। পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনের সাইটে এক প্রোফাইল দেখে আহ্লাদে আটখানা। বিবরণ বলছে, সোনার টুকরো ছেলে। শুধু ছবিটাই যা নেই। যোগাযোগ করতে গিয়েই বাড়িসুদ্ধ সবার মাথায় হাত। প্রোফাইলে বলা নামী সংস্থার শীর্ষ কর্তা হওয়া দূরে থাক, ওই নামে কারও হদিসই নেই সংস্থার কর্মী তালিকায়। খোঁজাখুঁজি করে জানা গেল, প্রোফাইলটিই ভুয়ো। ওই নাম বা বিবরণের কারও অস্তিত্বই নেই।
ছেলে হোক বা মেয়ে, বিয়ে দিতে গিয়ে এ ধরনের ওয়েবসাইটে ভুয়ো প্রোফাইলের পাল্লায় পড়ার অভিযোগ ভুরি ভুরি। প্রতারিত হওয়ার অভিযোগও নতুন কিছু নয়। পরিস্থিতি এমনই যে, খোদ কেন্দ্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধী পাত্রপাত্রীর ওয়েবসাইটে তথ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখতে আগ্রহী। মন্ত্রকের পরামর্শ, প্রোফাইল তৈরি করলে হবু পাত্রের পরিচিতির যথাযথ তথ্যপ্রমাণ চেয়ে নিক ওয়েবসাইট সংস্থাগুলি। আর সেই পথেই হাঁটছে এবিপি। সম্বন্ধ করে বিয়ের সঙ্গে প্রায় সমার্থক হয়ে ওঠা ‘পাত্রপাত্রী’ কলাম থেকে এ বার সোজা অনলাইনে হাজির হচ্ছে তাদের ওয়েবসাইট ‘এবিপিওয়েডিংস ডটকম’।
নতুন এই ওয়েবসাইটে নিজের প্রোফাইল থেকে অন্য প্রোফাইলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে চাইলে সচিত্র পরিচয়পত্র দাখিল করা বাধ্যতামূলক করছে সংস্থা। তাদের বক্তব্য, এর ফলে এক দিকে যেমন ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে প্রতারণার সুযোগ ঠেকানো যাবে, তেমনই বাড়বে বিশ্বাসযোগ্যতাও।
ক্যাচলাইন বলছে, ‘এ বার শুরু বিয়ে, ফোটো আইডি দিয়ে!’ আজ, সোমবার পর্দা উঠবে তারই।
প্রজাপতির নতুন ঠিকানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy