বিপজ্জনক: এক হাতে স্টিয়ারিং, অন্য হাতে মোবাইল। বুধবার।ছবি: সুদীপ ঘোষ
ব্যস্ত রাস্তায় চলেছে অ্যাপ নির্ভর ক্যাব। হঠাৎ বেজে উঠল চালকের মোবাইল। ও-পারে গা়ড়ি বুক করা যাত্রী। কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশ শুনতে শুনতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক।
মোটরবাইকে চেপে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেওয়ার চাকরি করেন সদ্য কলেজ পাশ করা তরুণ। হেলমেটে ফোন গোঁজাই থাকে। রাজপথে বাইক চালাতে চালাতেই ফোনে জেনে নেন গ্রাহকের ঠিকানা।
গাড়ি, বাইক চালানোর সময়ে মোবাইলে কথা বলা বেআইনি। এর বিপদ কী, তার সর্বশেষ উদাহরণ মুর্শিদাবাদের বাস দুর্ঘটনা। তবু পথে চালকদের মোবাইল ব্যবহার কমছে না কিছুতেই। একটি বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী বলছেন, ‘‘সে দিন একটি ক্যাবে ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত দেখলাম, চালক হেডফোন গুঁজে গল্পই করে গেলেন!’’
প্রায় রোজই কসবার বা়ড়ি থেকে অফিসে শেয়ার ক্যাবে আসেন এক তরুণী। তিনি বলছেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীদের তুলতে চালককে ফোন করতেই হয়। তিনি ফোন না ধরলে তো আমাদের অসুবিধা।’’ খাবার সরবরাহকারী সংস্থার এক ডেলিভারি বয়ও বলছেন, ‘‘পরপর ফোন আসে। কত বার বাইক দাঁড় করাব?’’
পুলিশকর্তারা বলছেন, মোবাইলের জিপিএস-এ যাত্রীর অবস্থান দেখা যায়। তার ধারে-কাছে পৌঁছে ফোন করলেই চলে।
একই কথা প্রযোজ্য খাবারের ডেলিভারি বয়দের প্রসঙ্গেও। এর প্রেক্ষিতে এক অ্যাপ-ক্যাব চালক বলেন, ‘‘ফোন না ধরেই বা কী করব? প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাই।’’
কিন্তু পুলিশের অভিযোগ, আজকাল গাড়িতে হেডফোন বা স্পিকারে কথা বলারও প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ অ্যাপ-ক্যাব চালকই তা ব্যবহার করেন না।
অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা ‘ওলা’র এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘যাত্রী-সুরক্ষার সঙ্গে আপস করি না। পথ-বিধি মানার ক্ষেত্রে চালকদেরও সতর্ক করা হয়।’’ আর এক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা ‘উব্র’-এর বক্তব্য রাত পর্যন্ত মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy