প্রতীকী ছবি।
ভবানীপুরে লুঠের চেষ্টার ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাঙ্গো লেন থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ শামিম ওরফে বাবলু, অমরজিৎ কুঁওয়ার, মহম্মদ মুস্তাকিন ওরফে রাজ এবং মহম্মদ নাদিম। এর মধ্যে অমরজিৎ বিহারের মজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। শামিমের বাড়ি হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় এবং বাকি দু’জন বন্দর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি সিঙ্গল শটার পিস্তল, দু’টি কার্তুজ এবং একটি গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে ভবানীপুর থানার আনন্দ ব্যানার্জি লেনের অগ্রবাল পরিবারে লুঠের চেষ্টা হয়। কিন্তু গৃহকর্ত্রী ললিতা অগ্রবালের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে লুঠ না করেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ওই পরিবারের কর্তা মোহন অগ্রবালের এলগিন রো়ডে একটি ছবি তোলার স্টুডিও আছে। তাঁদের অভিযোগ, গভীর রাতে কলিং বেলের আওয়াজ শুনে মোহনবাবু ঘুম চোখে দরজা খুলতেই চার জন মুখোশধারী তাঁকে ঠেলে ঢুকে পড়ে। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে মোহনবাবুকে তারা কিছু বলতে থাকে। দুষ্কৃতীদের এক জন শোয়ার ঘরে ঢুকে ফের বেরিয়ে আসে এবং মোহনবাবুর মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে কিছু জানার চেষ্টা করে।
ঘটনার সময়ে শোয়ার ঘর থেকে মোহনবাবুর দিদি গায়ত্রী ও স্ত্রী ললিতা বেরিয়ে আসেন। কিন্তু ললিতাদেবীকে ঘরে ঢুকে যেতে বলে দুষ্কৃতীরা। কিছু ক্ষণ পরে সন্দেহ হওয়ায় তিনি ফের বাইরে আসেন এবং দেখেন, তাঁর স্বামীর মাথায় রিভলভার ঠেকানো। এর পরেই শোয়ার ঘরে ঢুকে স্ত্রী ললিতাদেবী ফোন করেন থানায়।
ললিতাদেবী জানান, রাতে কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। তিনি হাসপাতাল থেকে ডায়ালিসিস করে আসায় ক্লান্ত ছিলেন। ওই রাতে মেয়ে এবং বৌমার সঙ্গে তিনি অন্য ঘরে শুয়েছিলেন। ললিতাদেবীর কথায়, ‘‘আমার ঘরেও কেউ ঢুকে আলো জ্বেলেছিল। আলো দেখে সেটা বন্ধ করতে বলি। পরে পরিস্থিতি বুঝে থানায় জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy