বিকেলের আগেই গ্রামের পিচরাস্তা দিয়ে ছুটে গেল পুলিশের গাড়ি। সে দিকে তাকিয়ে নিচু গলায় এক বৃদ্ধ বললেন, “পরিস্থিতি যা, তাতে পুলিশের গাড়ি একটু ঘন-ঘন আসাই ভাল।”
সায় দেন অন্যেরা।
দিনটা তো আর পাঁচটা দিনের মতো নয়। লঙ্কাদের ফাঁসি না হোক, যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। তারা জেলে থাকলেও অনেক সাঙ্গোপাঙ্গই তো বাইরে। তারা কি ছেড়ে কথা বলবে? গ্রামে ঢোকার মুখে চায়ের দোকানে তেমন ভিড় নেই। গত বারের মতো না হলেও এ বারও একটা চাপা যে ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, সেটা বিলক্ষণ জানে পুলিশ। তাই কৃষ্ণগঞ্জ থানার গাড়ি ঘুরে গিয়েছে।
তাতেও অবশ্য আশ্বস্ত হতে পারেননি অনেকেই। অপর্ণার ছোট মেয়ে দেবিকা ইতিমধ্যে মারা গিয়েছে জ্বরে। মাস সাতেক আগে বড় মেয়ে নীলিমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে চলে গিয়েছে অন্য রাজ্যে কাজের সন্ধানে। বাড়িতে একা অপর্ণার স্বামী দেবনন্দ বাগ। কিন্তু শুক্রবারই তিনি দরজায় তালা বন্ধ করে মেয়ের কাছে চলে গিয়েছেন। গুলিতে দখম শ্যামলী তরফদার কথা বললেও বেশির ভাগের মুখে তালা। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, স্থানীয় জয়ঘাটা পঞ্চায়েতের সদস্য প্রবীর বিশ্বাস বলেন, “গ্রামে ক’টা দিন পুলিশ থাকলে ভাল হয়। মানুষ তাতে সাহস পাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy