Advertisement
E-Paper

‘পুলিশের বাবাও কিছু করতে পারবে না’

ওই রাতের অভিজ্ঞতা মনে করলে এখনও শিউরে উঠছি আমি। সুভাষপল্লি বাজারের সামনের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমার স্বামী সুব্রত, দোকানে ফল কিনতে গিয়েছিল। গাড়ির সামনের আসনে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলাম।

মান্তু ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৪
মান্তু ঘোষ

মান্তু ঘোষ

ওই রাতের অভিজ্ঞতা মনে করলে এখনও শিউরে উঠছি আমি। সুভাষপল্লি বাজারের সামনের রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমার স্বামী সুব্রত, দোকানে ফল কিনতে গিয়েছিল। গাড়ির সামনের আসনে বসে মোবাইল ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলাম। হঠাৎ দুই যুবক এসে বলে ‘‘এখানে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিস কেন? গাড়ি সরা।’ আমাকে বলছে এটা প্রথমে বুঝতেই পারিনি। জিজ্ঞাসা করি আমাকে কিছু বলছেন? ওরা বলে, ‘হ্যাঁ। তোকেই বলছি। তোর গাড়ির ড্রাইভার কোথায়? গাড়ি সরা।’ কাউকে এত খারাপ কথা বলতে কখনও শুনিনি। ভয়ে গাড়ি থেকে নেমে আমার স্বামী কোথায় দেখতে যাই। দেখি, ও এগিয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: মান্তু ঘোষকে হেনস্থা, ধৃত দুই যুবক

সুব্রত গাড়ির কাছে আসার পরেও একইভাবে গালিগালাজ করতে থাকে ওরা। ও রুখে দাঁড়িয়ে বলে, কেন গাড়ি সরাব? তা ছাড়া এ ভাবে কথা বলছেন কেন? এ কথা শুনে ওকে আরও বেশি করে গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ ডাকার কথা বললে, বলে ‘ডাক। কে আছে? পুলিশের বাবাকে ডাক। কেউ কিছু করতে পারবে না।’ মদ্যপ ওই যুবকদের কথা বলার ধরণ দেখে ঘাবড়ে যাই।

পুলিশের এক আধিকারিককে ফোন করে ঘটনা জানাই। তিনি বলেন, যেখানে আছি সেখানেই যেন দাঁড়িয়ে থাকি। তিনি শিলিগুড়ি থানায় বলে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। হঠাৎ মোটরবাইকে করে একটা লোক ওদের কাছে এসে বলে, ‘চলে যা। না হলে বিপদে পড়বি।’ এরপরই ওরা মোটরবাইক নিয়ে পালায়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে পৌঁছায়। আমাদের চলে যেতে বললে আমরা চলে আসি।

Mantu Ghosh harassment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy