কে চন্দ্রশেখর রাও। — ফাইল চিত্র।
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দলের একের পর এক সাংসদ হারাচ্ছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। রবিবার কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর সঙ্গ ছাড়লেন বিআরএস সাংসদ রঞ্জিত রেড্ডি। এই নিয়ে গত চার দিনে চার জন সাংসদ কেসিআর-এর দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিলেন। রবিবার তেলঙ্গানার সাংসদ রঞ্জিত বিআরএস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। সূ্ত্রের খবর, রঞ্জিতকে তেলঙ্গানার চেভেলা আসন থেকে টিকিট দিতে পারে কংগ্রেস।
কেন দল ছাড়লেন তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রঞ্জিত জানান, রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন রঞ্জিৎ। তিনি লেখেন, ‘‘রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই আমি পদত্যাগ করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘আমি আমার সমস্ত সমর্থক এবং জনগণকে জানাচ্ছি যে বিআরএস পার্টিকে আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের চিঠি পাঠিয়েছি। আমি বিআরএস পার্টির কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে চেভেলা নির্বাচনী এলাকার মানুষের সেবা করতে দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল দল।’’
গত বৃহস্পতিবার সাংসদ বিবি পাটিল দল ছেড়েছিলেন। শুক্রবার একই পথে হেঁটে বিআরআস থেকে পদত্যাগ করেন আর এক সাংসদ পোথুগঁতী রমুলু। শনিবার ভারঁগলের বিআরএস সাংসদ পসুনুরী দয়াকরও দল ছেড়েছেন। পাটিল এবং রমুলু বিজেপিতে যোগ দিলেও দয়াকর কংগ্রেসের হাত ধরেছেন।
বিআরএস থেকে পদত্যাগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই রঞ্জিত কংগ্রেসে যোগ দেন। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি এবং এআইসিসির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক দীপা দাশমুন্সির উপস্থিতিতে কংগ্রেসে এলেন তিনি। একের পর এক সাংসদ দল ছাড়ায় লোকসভা ভোটের আগে চাপে পড়েছেন কেসিআর। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই বিপাকে তিনি। বিধায়ক এবং সাংসদেরা দলের মধ্যেই ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করেন। কেউ বিজেপিতে, কেউ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। অন্য দিকে, দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় চন্দ্রশেখরের কন্যা কে কবিতাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই আবহের মধ্যেই সাংসদদের দল ছাড়ায় চিন্তায় কেসিআর শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy