(বাঁ দিকে) সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় , অরূপ চক্রবর্তী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
তাঁর বদলে বাঁকুড়া আসনে তৃণমূল টিকিট দিয়েছে তালড্যাংরার বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীকে। এই ঘটনায় খুশি ছিলেন না অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে কি বেরোবেন না সায়ন্তিকা? যদিও এই প্রেক্ষিতে প্রার্থী অরূপের দাবি, একেবারে কাউকে ছাদে তুলে দেওয়া যায় না। ধাপে ধাপে উঠতে হয়। সায়ন্তিকা তাঁর হয়ে প্রচারে আসবেন বলেও দাবি অরূপের।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু বিজেপির কাছে হেরে যান তিনি। হারলেও বাঁকুড়াকে ছাড়েননি। তা দেখে দল তাঁকে সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিল। করা হয়েছিল দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। এ বার অভিনেত্রীর আশা ছিল, তাঁকে বাঁকুড়া লোকসভায় প্রার্থী করবে দল। কিন্তু রবিবারের ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকে ঘোষিত তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় নাম নেই সায়ন্তিকার। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে অভিমান হলেও দ্রুত তা কাটিয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। সোমবারই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। পাশাপাশি, স্পষ্ট করেছেন, প্রার্থী হতে না পারায় তাঁর অভিমান হয়েছিল। যা এখন মিটে গিয়েছে। এর পরেই সায়ন্তিকাকে তাঁর হয়ে প্রচারে দেখা যাবে বলে দাবি করলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। অরূপ জানান, দল যাঁকে যোগ্য বলে মনে করেছে তাঁকেই মনোনয়ন দিয়েছে। হুট করে কাউকে ছাদে উঠিয়ে দেওয়া যায় না বলেও মনে করেন অরূপ। তিনি বলেন, ‘‘অভিমানটা কিসের? দল ঠিক করবে কে প্রার্থী হবে। আমি আছি মানে, আমাকেই প্রার্থী করতে হবে, এর কোনও মানে হয় না। আমি তো এত দিন ধরে দল করছি। প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ, বিধায়ক, তার পর তো সাংসদ! হুট করে তো আর ছাদে উঠিয়ে দেওয়া যায় না! ধাপে ধাপে উঠতে হয়। ও আমাকে বলেছে, প্রচারে আসবে। ওটা কিছু না। কোনও ব্যাপার না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy