থানায় নালিশ জানিয়ে বেরিয়ে আসছেন বিজেপির বুথ সভাপতি নিমাই ধীবর। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব। মারধরে পা ভাঙল বুথ সভাপতির। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানার বড়রা গ্রামে। মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কাঁকরতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বিজেপির বুথ সভাপতি নিমাই ধীবরের। তদন্তে পুলিশ। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে পাল্টা আঙুল তুলছে।
ভোট আসছে বীরভূমে। তার আগেই গোলমালের অভিযোগে উত্তপ্ত খয়রাশোল। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে বড়রা গ্রামে বিজেপির ৩৭ নম্বর বুথের সভাপতি নিমাইয়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। নিমাইকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে পা ভেঙে যায় নিমাইয়ের। মঙ্গলবার সকালে কাঁকরতলা থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিমাই। তিনি বলেন, ‘‘রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ মানা এবং শেখ চম্পা বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মারধর করে। আমি বিজেপি করছি বলে আমাকে এ ভাবে মেরে গেল। কেন আমি বুথ সভাপতি হয়েছি, সেটাই ওদের রাগ। আমার স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে। আমাকে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।’’
ঘটনার খবর পেয়ে কাঁকরতলা থানায় পৌঁছন দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপকুমার সাহা। তিনি বলেন, ‘‘এক জন পঞ্চাশোর্ধ্ব বুথ সভাপতিকে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হল। তাঁর স্ত্রীর উপর হামলা হল, মারধর করা হল। খয়রাশোল ব্লকে তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পেয়েছে বলেই আমাদের বুথ সভাপতিকে মেরে পা ভেঙে দেওয়া হল, স্ত্রীকে মারা হল। ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আগামী ভোটে তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে নিজের প্রতিবাদ নথিভুক্ত করবেন।’’
তৃণমূল অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, বিজেপি নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাতে চাইছে। বীরভূমে ভোটে জিততে মারামারি করতে হয় না তৃণমূলকে, দাবি জেলায় দলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে হাওয়া গরম করতে বিজেপির তরফ থেকে এই সব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যেই গোলমাল করছে বিজেপি। তৃণমূল এখানে এমনিতেই জয়লাভ করবে, তাদের মারামারি করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy