—প্রতীকী চিত্র।
প্রার্থী নিয়ে জঙ্গিপুরে এখনও দোটানায় বিজেপি। কার্যত হতাশ দলের কর্মীরা। প্রায় ৬৪ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর লোকসভায় তার আগেভাগেই মাসিক এক লক্ষ টাকা ভাড়ায় পুরো একটি হোটেল ভাড়া নিল বিজেপি।
কর্মীরা প্রচারে না নামায় বিজেপির হয়ে দেওয়াল লিখন শুরুই হয়নি কোথাও। জঙ্গিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী যখন চরকির মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তখন কোথাও দেখা যাচ্ছে না বিজেপিকে।অথচ গত নির্বাচনে জঙ্গিপুরে বিজেপি ছিল তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ। মুর্শিদাবাদের আর দু’টি আসন মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুরে অবশ্য আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে বিজেপি।
২০১৯ সালের নির্বাচনে প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে হেরে জঙ্গিপুরে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি এ বার জঙ্গিপুর আসনকে তাদের জয়ের সম্ভাবনাময় আসন বলে ধরছে। প্রচারে জঙ্গিপুরে আসবেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাই ইতিমধ্যে মাসিক লক্ষ টাকা ভাড়ায় রঘুনাথগঞ্জ শহর লাগোয়া শ্রীকান্তবাটীতে একটি হোটেল ভাড়া নিয়েছে বিজেপি।
উত্তর মুর্শিদাবাদের সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলছেন, “প্রচারে নেতারা আসবেন। তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও রয়েছেন। তাঁদের থাকা খাওয়া, নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুবিধার কারণেই হোটেলটি নির্বাচনের জন্য ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে যে ৪০০ আসনে জয় পাওয়ার সম্ভাবনা তার মধ্যেই ধরা হয়েছে জঙ্গিপুরকে। ৭ মে ভোট হওয়ার কথা জঙ্গিপুর আসনে। আশায় আছি আমরাও। যে কোনও মুহূর্তে প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে জঙ্গিপুরের।”
২৩ জন আবেদন করেছেন প্রার্থী হতে। তাঁদের মধ্যেই দলের জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে বহু নেতা রয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতারা আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে জঙ্গিপুরে প্রার্থী করতে চাইছেন না। তাঁদের পছন্দের প্রার্থী বহিরাগত। তাতে রাজি নন জেলার নেতারা।
রাজ্য কমিটির এক সদস্য বলছেন, “রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রার্থী নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন নতুন করে। তাঁদের জন্য আসন ছাড়তে হচ্ছে। সেই কারণেই ২২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে দেরি হচ্ছে। যতদূর জেনেছি শুক্রবারের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাবে।”
জঙ্গিপুর আসনে কংগ্রেস প্রার্থী থাকায় বিজেপি,তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে ত্রিমূখী লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদের সাড়ে চার লক্ষ ভোট পেতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy