—ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীকে কি ঘুরিয়ে ‘অপয়া’ বলল বিজেপি! রবিবার পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিতেই তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণার পর বিজেপি বলেছে, ‘‘ইন্ডি জোটে আরও একটি ঝটকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বাংলায়। আর কংগ্রেস এখনও এদিক সেদিক দেখে বেড়াচ্ছে। দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী যেখানে যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই ইন্ডি জোট তার শেষ নিঃশ্বাস ফেলছে।’’
কিছু দিন আগেই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা উপলক্ষে বাংলা সফরে এসেছিলেন রাহুল। সেই সফরেও তৃণমূলের প্রতি আসনরফা নিয়ে সুর নরম করার বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল এবং তাঁর সঙ্গী কংগ্রেস নেতা তথা মুখপাত্র জয়রাম রমেশ। রবিবার তার পরও তৃণমূল রাজ্যে কংগ্রেসকে কোনও আসন না ছাড়ায় বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা দিল্লিতে বলেন, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে জেনে শুনেই চুপ করেছিল কংগ্রেস। এমনকি, শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটি কথাও খরচ করেননি রাহুল গান্ধী বা প্রিয়ঙ্কা ভদ্র। বরং মল্লিকার্জুন খাড়্গে তৃণমূলের হয়েই কথা বলেছিলেন। কিন্তু এত কিছু করেও এই প্রতিদান জুটল তাদের।’’
উল্লেখ্য, তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা আগেই আসনরফা নিয়ে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন কংগ্রেসকে। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেসকে সময় দিয়ে বলেছিলেন, কংগ্রেস আসনরফা নিয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করতে হবে। বাংলায় কংগ্রেসকে দু’টি আসন ছাড়তে চেয়েছিলেন মমতা। অন্যদিকে কংগ্রেস আরও বেশি আসনের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও আলোচনাও না করায় মমতা জানিয়ে দেন, তিনি বাংলায় একা লড়বেন। একটি আসনও ছাড়বেন না কংগ্রেসকে। পরে তৃণমূল এ-ও বলে, কংগ্রেস আসনরফা নিয়ে আলোচনা স্থগিত রেখেছিল বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের জন্য। যাতে ফল ভাল হলে তারা দর কষাকষি করে এই আসন বাড়িয়ে নিতে পারে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কংগ্রেসের সেই কৌশল মুখ থুবড়ে পরে বাংলায়।
রবিবার বিজেপি মুখপাত্র তৃণমূলের প্রার্থী তালিকাকে কংগ্রেসের ঝটকা বলে মন্তব্য করে বলেন, দেখা যাচ্ছে রাহুল যেখানেই যাচ্ছেন বিরোধী জোট শুকিয়ে যাচ্ছে। যদিও বাংলা ছাড়া আর কোথাও বিরোধী জোট ইন্ডিয়া ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা যায়নি। কম আসন পেলেও উত্তর প্রদেশ এবং দিল্লিতে আপ এবং সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে রফাই হয়েছে কংগ্রেসের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy