গৌতম দেব।
‘ক্ষোভ-অভিমান’ রয়েছে, রয়েছে ‘দ্বন্দ্ব’। এমন আবহে লোকসভা ভোটের আগে, তৃণমূলের সংগঠনে নজর দিতে জলপাইগুড়ি জেলাতেও ঘরোয়া, মাঝারি বৈঠক করবেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জলপাইগুড়ি জেলার সংগঠন দেখভালের ভার গৌতম দেবকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত এবং ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের সময় গৌতম দেব ‘শিবির’ করে জলপাইগুড়িতে থেকে ভোট তদারকি করেছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে, ফের জেলার সংগঠনে নজর দেবেন গৌতম।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র। তিনি বলেছেন, “শিলিগুড়িতেও সংগঠন নিয়ে বৈঠক করব। তখন জলপাইগুড়িতেও আসব। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব। জলপাইগুড়ির নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা হতেই থাকে।”
তৃণমূল সূত্রের দাবি, জেলায় ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘ক্ষোভ-অভিমান’ নিয়ে জেলা নেতৃত্বের তরফে দলীয় ভাবে এখনও গৌতম দেবকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও ‘বিক্ষুব্ধ’ শিবিরের বড় অংশ গৌতম দেবকে বিভিন্ন মাধ্যমে নালিশ জানিয়েছেন। আবার দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সঙ্গেও শিলিগুড়ির মেয়রের সম্পর্ক ‘ভাল’ বলেই রাজনৈতিক সূত্রের দাবি। সম্প্রতি মালবাজারের এক নেতা দলের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। মালবাজারের প্রাক্তন এক জনপ্রতিনিধি দল ছাড়তে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
দলের প্রাক্তন শ্রমিক নেতা রাজেশ লাকড়ার শিবির থেকেও প্রতিনিয়ত দলকে আক্রমণ হচ্ছে বলে দাবি। অন্য দিকে, দুই শাখা সংগঠনের প্রভাবশালী দুই নেতা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাজ্যে গিয়ে নালিশ জানিয়েছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে জেলা তৃণমূলের অন্দরে ‘অস্বস্তি’ রয়েছে।
লোকসভা ভোটে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়েও টানাপড়েন চলছে। প্রার্থী পদে নামের সুপারিশ নিয়ে জেলা তৃণমূল কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে রয়েছে। তার ফলে, সংগঠনের বুথ স্তরে আপাতত কর্মসূচি হচ্ছে না বলেই দাবি।
জেলা তৃণমূলের ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘মান-অভিমান’ নিয়ে সরাসরি মন্তব্যে রাজি নন জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ। তিনি শুধু বলেন, “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে দল করি। তৃণমূল একটা পরিবার। কেউ যদি অন্য দলে যান, বুঝতে হবে, তিনি কোনও দিন দলের ছিলেনই না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy