Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

রানাঘাটে জয় নিয়ে বিজেপির চিন্তা ‘অন্তর্ঘাত’

লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মুকুটমণি অধিকারীর নাম প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতা তাতে বাধা হওয়ায় প্রার্থী হতে পারেননি মুকুটমণি।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সুদেব দাস
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪ ০৭:২২
Share: Save:

সময়টা ২০১৯। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ন জমা দিতে কৃষ্ণনগরে জেলাশাসকের দফতরে বিজেপিরই চার নেতা হাজির ছিলেন। শেষ পর্যন্ত দল 'প্রতীক' দিয়েছিল জগন্নাথ সরকারকে। তিনি জয়ীও হন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে সেই জগন্নাথেই ভরসা রাখল বিজেপি।

শনিবারই কৃষ্ণনগরে সভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন বিকেলেই দলীয় ভাবে রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জগন্নাথের নাম ঘোষণা করা হয়। রবিবার সকাল থেকে প্রচারেও নেমে পড়েন তিনি। তবে এত কিছুর পরেও রানাঘাট কেন্দ্র ধরে রাখার ক্ষেত্রে দলের 'অন্তর্ঘাত' কতটা প্রভাব ফেলবে সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মুকুটমণি অধিকারীর নাম প্রথমে ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতা তাতে বাধা হওয়ায় প্রার্থী হতে পারেননি মুকুটমণি। মনোনয়ন জমার শেষ লগ্নে দল জগন্নাথকে টিকিট দেয়। তৃণমূলের প্রার্থী রূপালি বিশ্বাসকে প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান জগন্নাথ। প্রথম বারের জন্য রানাঘাট লোকসভা বিজেপির দখলে আসে। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনে আবার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা সাতটি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতে জয়ী হয় বিজেপি। লোকসভা ভোটে জয়ের ব্যবধানের নিরিখে সাত বিধানসভায় বিজেপি সার্বিকভাবে প্রায় এক লক্ষ ভোটে এগিয়েছিল। এদ্ন দুপুরে রানাঘাটে দলীয় পার্টি অফিসে সাংবাদিকসম্মেলনে জগন্নাথ বলেন, "লোকসভা ভোটের ফলের সঙ্গে বিধানসভা ভোটের ফল এক করলে চলবে না। আবার বিধানসভা ভোটের সঙ্গে পঞ্চায়েত বা পুরসভা নির্বাচনের অঙ্ক কখনও এক হতে পারে না। এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যবধান বাড়বে।"

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার লোকসভায় রানাঘাট কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়েছিলেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সভা চলাকালীন দ্বিতীয়বার টিকিট পাওয়া নিয়ে চিন্তিত ছিলেন জগন্নাথ। কিন্তু মোদীর সভা শেষ হতেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বসেন। তারপরই রানাঘাট কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে জগন্নাথের নাম নির্দিষ্ট হয়। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই মুকুটমণি ও জগন্নাথের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। মুকুটমণি ঘনিষ্ঠদের অনেকেরই দাবি, সেই সময় টিকিট না পাওয়া নিয়ে জগন্নাথের 'হাত' ছিল। পরবর্তীতে জগন্নাথ সাংসদ হলেও দুই শিবিরের দূরত্ব কমেনি। দলীয় একাধিক কর্মসূচিতে জগন্নাথের উপস্থিতি থাকলেও, দেখা যায়নি মুকুটমণিকে। আবার মুকুটমমণির ডাকা কর্মসূচিতে গরহাজির থাকতে দেখা গিয়েছে জগন্নাথ ও তাঁর অনুগামীদের। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই দূরত্ব এবারের নির্বাচনে দল সামলাবে কী ভাবে? যদিও জগন্নাথ বলেন, "বিজেপি মানে একটা পরিবার। পরিবারের সকল সদস্যর মধ্যেমতের অমিল থাকতে পারে। তার জন্য রয়েছে শাসন।" কিন্তু তাতে যদি কাজ না হয়? যদি অন্তর্ঘাত নেমে আসে? জগন্নাথের উত্তর, ‘‘গত পাঁচ বছরে মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষের ভোটে জিতব। জয়ের ক্ষেত্রে কোনও কিছুই বাধা হবে না।"

জগন্নাথের হয়ে প্রচারে কি নামবেন মুকুটমণি? বিধায়কের স্পষ্ট বক্তব্য, "দল আমাকে এখনও কিছু জানায়নি।" লোকসভায় টিকিট না পাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "দল যা ভাল মনে করেছে।" তবে খোঁচাও দিতে ছাড়েননি তিনি। এদিনও তাঁর কথায় উঠে আসে, রানাঘাটের সাংসদ 'কমপার্টমেন্টাল এমপি'।

রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপির অভ্যন্তরে অন্তর্ঘাতের এমন চোরা স্রোত তাদের চিন্তায় রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2024 Ranaghat BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE