বামফ্রন্টের গণ - কনভেনশনে নিরাপদ সর্দার, মহম্মদ সেলিম। মৌলালি যুব কেন্দ্রে। — নিজস্ব চিত্র।
আসন সমঝোতার লক্ষ্যকে মাথায় রেখে এক দিকে বাম শরিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তারই পাশাপাশি বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘ঐক্যবদ্ধ লড়াই’য়ের ডাক দিল বামফ্রন্ট। কংগ্রেস বা আইএসএফের সঙ্গে কত আসনে বামেদের রফা হবে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে সিপিএমের আলোচনা হয়েছিল দু’দিন আগেই। তার পরে শুক্রবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিআই এবং আরএসপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মগ সেলিম। সূত্রের খবর, বৈঠকে সিপিআইয়ের তরফে রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর দেব, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক অশোক সেনেরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের ভাগের তিন আসনেই লড়তে চান। আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক তপন হোড়, সুভাষ নস্করদের সঙ্গেও সিপিএমের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে কংগ্রেস বা আইএসএফের আসনের দাবি সংক্রান্ত রূপরেখা না পেলে বামফ্রন্টের মধ্যে কোনও নিষ্পত্তিই চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়, এই আলোচনা উঠে এসেছে দুই বৈঠকেই। সিপিএম নেতৃত্ব শরিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন আগ্রহী হলে প্রয়োজনে তাদের জন্যও একটি আসন ছাড়তে হবে। শরিক নেতাদের কাছে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য তৈরি থাকার আবেদনই করছে সিপিএম।
দেশ ও রাজ্যের চলমান নানা প্রশ্নের উপরে এ দিনই মৌলালি যুব কেন্দ্রে গণ-কনভেনশনে ছিলেন বামফ্রন্টের সব দলের নেতৃত্ব। সেখা্নে আন্দোলনের প্রস্তাব পেশ করেছেন বিমানবাবু। আর সেলিম বলেছেন, ‘‘মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে লুট করা যায় না। আবাসন থেকে শুরু করে গ্রাম, কেউ এখন সুরক্ষিত নয়। আবাসন ঘিরে ফেলে মিড-ডে মিলের আন্দোলনকারীদের ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার করতে গিয়েছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। দেশ জুড়ে বিজেপি কী করছে, তা-ও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘সন্দেশখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চুপ, মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব! মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়াতে হবে বামেদেরই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy