Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Lok Sabha Election 2024

অন্নপূর্ণা, লক্ষ্মীর জোর টক্কর  

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের বুথের নেতা— প্রচারে রাজ্যের শাসক দলের সকলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা ফলাও করে বলছেন।

বিজেপির অন্নপূর্ণা প্রকল্পের প্রচার বর্ধমানে।

বিজেপির অন্নপূর্ণা প্রকল্পের প্রচার বর্ধমানে। নিজস্ব চিত্র।

সুপ্রকাশ চৌধুরী
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২৭
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে প্রচারে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। ভোটের আগে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের ভাতাও বাড়িয়েছে। এ বার মহিলা ভোটের কথা মাথায় রেখে ‘অন্নপূর্ণা ভান্ডার’ প্রকল্প আনা হবে বলে পাল্টা প্রচার শুরু করল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এই প্রকল্পে মাসে ৩০০০ টাকা দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের বুথের নেতা— প্রচারে রাজ্যের শাসক দলের সকলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা ফলাও করে বলছেন। বহু জায়গায় দেওয়াল লক্ষ্মীর ভান্ডারের বড় বড় ছবি আঁকা হয়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তৃতায় উঠে এসেছে এই প্রকল্পের কথা। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে দেওয়াল লিখনেও উঠে এল অন্নপূর্ণা প্রকল্প। বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ এলাকায় দেওয়ালে লেখা হয়েছে, ‘অন্নপূর্ণা ভান্ডারে ৩০০০ টাকা পেতে দিলীপ ঘোষকে ভোট দিন।’ দেওয়ালে লেখা হয়েছে ‘মোদীর গ্যারান্টির’ কথাও।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন

বিজেপির প্রচার সম্পর্কে তৃণমূলের বক্তব্য, এ সব মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। বুধবার গলসির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে বিজেপির একটা নেতা বলছিল, তিন মাস পরে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেব। আমি শুধু বলছিলাম, কান ধরে ওঠবস করাব। আর কিছু করাব না, যদি বন্ধ করে দিতে পারো। ক্ষমতা থাকলে বন্ধ করো। আমি বলছি, জীবনভর মা-বোনেরা পাবে। এটাই চলবে। আর জেনে রেখো, ভাই-বোনেরা নিলে গণতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে তোমাদের এমন ভাবে কানমলা দেবে, যাতে আগামী দিন তোমরা ভারতবর্ষে ক্ষমতায় আসতে না পার।’’ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ বলেন, ‘‘এ সব মিথ্যা প্রচার। ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। সেটা ব্যাঙ্কে এসেছে? দু’কোটি করে চাকরি বছরে হয়েছে? ওরা মিথ্যা কথা বলে। কাদের কথা শুনছেন আপনারা!’’ পাল্টা কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘উনি আগে বাংলাকে চিনুন, বিজেপিকে চিনুন। বিজেপি ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই এ সব বলছেন।’’ এই বিতর্কে ঢুকতে নারাজ বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষাল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সবার হাতে কাজ, সবার পেটে ভাত। এর জন্য লড়াই জারি রয়েছে। মানুষের রুটিরুজির জন্য এই সংগ্রাম চলবে।’’

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের 'দিল্লিবাড়ির লড়াই' -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE