—প্রতীকী ছবি।
ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি পেতে কেউ নিজের অসুস্থতার কথা তোলেন। কেউ বা বয়স্ক বাবা-মায়ের কথা উল্লেখ করেন। তবে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের অন্দরের খবর, এ বার লোকসভা ভোটের কাজ এড়াতে কর্মীদের বেশির ভাগই নির্বাচনের সময়ে সপরিবারে দক্ষিণ ভারতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। অনেকে ইতিমধ্যে ট্রেনের টিকিটও কেটে ফেলেছেন।
বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ভেলোরে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরে কর্মীরা কেটেছেন বলে আমাদের নজরে এসেছে। নির্বাচন ঘোষণার পরেই ভেলোরে এত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যাওয়ার ‘হিড়িক’ দেখে আমরা বিস্মিত।’’
সরকারি অফিসগুলিতে প্রচুর শূন্যপদ থাকায় ভোট গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত কর্মী খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এর মধ্যেই বাঁকুড়া জেলায় ভোট কর্মীদের প্রথম দফার প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণে প্রায় ৮৫০ ভোট কর্মী প্রশাসনকে আগাম কিছু না জানিয়েই অনুপস্থিত থেকেছেন। যা নিয়ে আতান্তর অবস্থা প্রশাসনিক আধিকারকদের।
জেলা প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ভোট প্রশিক্ষণে অনুপস্থিত কর্মীদের মধ্যে প্রায় ৪৫০ জন বাঁকুড়া সদর মহকুমার, এ ছাড়া বিষ্ণুপুর মহকুমার প্রায় ২৪৭ জন ও খাতড়া মহকুমার প্রায় ১৫০ জন কর্মী রয়েছেন। প্রশাসন ওই কর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ভোট কর্মীদের প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণে যাতে তাঁরা অংশ নেন, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভোট কর্মী নিয়ে সঙ্কট কাটাতে নতুন করে ৮৪০ জনকে ভোটের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। তাঁদের এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষণে তাঁরাও যোগ দেবেন।’’ এই পরিস্থিতিতে নানা ছুতোয় যাঁরা ভোটের কাজ এড়াতে চাইছেন, তাঁদের প্রশ্রয় দিতে নারাজ প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের দাবি, ভোটের কাজ থেকে অব্যহতি চাইতে যে কারণগুলি তুলে ধরা হচ্ছে, তার সত্যাসত্য ভাল ভাবে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কেউ ভোট প্রশিক্ষণ এড়ালে আমরা তাঁকে সমর্থন করি না। তবে গত কয়েক বছরে এ রাজ্যে নির্বাচন ও হিংসা কার্যত এক হয়ে গিয়েছে। ভোট কর্মীরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। সেক্ষেত্রে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত কমিশনকে
করতেই হবে।’’ ভোট কর্মীদের জন্য সব রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy