প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
একে রামনবমীর দিন। তার উপরে, পাঁচশো বছর পরে ‘নিজের ঘরে’ জন্মদিন পালন শ্রীরামের! যে রাম ও রামমন্দিরকে ব্রহ্মাস্ত্র করেই ভোটযুদ্ধে ইন্ডিয়া মঞ্চকে টক্কর দিচ্ছে বিজেপি। অসমের বরপেটা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হেলিকপ্টারে বসে ট্যাবেই সেই সূর্য তিলকের মূহূর্ত দেখলেন। এর পরে নলবাড়ির ভাষণ-মঞ্চ থেকে রামের জন্মদিন পালনের উৎসবে লক্ষাধিকের জনসমাগমকে শামিল করে নিলেন তিনি। তাঁর নির্দেশে জনতা মোবাইলে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে রামকে স্মরণ করল। তিনি তাঁদের পাঠ করালেন রামনাম এবং কথায় কথা বুনে, সেই রামকাহিনির কাঁধে ভর করেই একেবারে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত বিজেপি জমানার স্লোগানও তুলে দিলেন মোদী। আগে মুসলিমপ্রধান এই বরপেটা কেন্দ্র সীমানা পুনর্বিন্যাসের পরে এখন হিন্দুপ্রধান।
মোদীর বক্তব্য, ‘‘আমরা বিকাশ ও ঐতিহ্যের (বিরাসত) পথে হেঁটেই বরপেটাকে বৈকুণ্ঠধামে পরিণত করেছি। এ বার বিজেপিকে জিতিয়ে ভারতকে বিকশিত করার দায়িত্ব আপনাদের।’’ তাঁর কথায়, “২০১৪ সালে আমি আশা নিয়ে এসেছিলেন, ২০১৯-এ নিয়ে আসি বিশ্বাস। আর ২০২৪-এ আমি গ্যারান্টি নিয়ে হাজির। মোদীর গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূর্ণ করার গ্যারান্টি।”
পাশাপাশি ত্রিপুরায় এসে সিপিএম-কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বিপ্লবকুমার দেবের সমর্থনে জনসভায় তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস-সিপিএম ত্রিপুরায় বোঝাপড়া করলেও, কেরলে জাতশত্রু হিসেবেই পরিচিত।’’
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে এদিন সমাবেশ ছিল। মোদীর বক্তব্য চলাকালীন বেশ কিছু লোকজনকে সভা ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশের সংবিধানকে বিজেপির হাত থেকে রক্ষা করতে ইন্ডিয়া জোট করা হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপির কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই। মোদীর সভায় জোর জবরদস্তি করে লোক আনা হয়েছিল।’’
কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সুদীপ রায়বর্মণেরও বক্তব্য, ‘‘মানুষকে ভয় দেখিয়ে এবং জোর করে মোদীর সভায় আনা হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy