প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় মঙ্গলবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বিহারের সারণ। দফায় দফায় বিজেপি এবং আরজেডি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে চলল গুলি। রক্ত ঝরল। মৃত্যুও হল এক জনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু’জন। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। এই ‘হিংসা’ যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে, তাই দু’দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। পঞ্চম দফার ভোট শেষ হওয়ার আগে ওই দিন সন্ধ্যায় ছপরার একটি বুথে গিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদবের কন্যা তথা সারণের আরজেডি প্রার্থী রোহিণী আচার্য। সেই সময়েই বিজেপি এবং আরজেডির কর্মী-সমর্থকেরা পরস্পরের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিষয়টি তখনকার মতো থেমে গেলেও তলে তলে কিন্তু একটা ক্ষোভের আঁচ জ্বলছিল। মঙ্গলবার সকাল হতেই আবার দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দফায় দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সারণ। অভিযোগ, এই সংঘর্ষ চলাকালীন দু’পক্ষই পরস্পরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বুথে জোর করে ঢুকে পড়েছিলেন রোহিণী। শুধু তা-ই নয়, তাঁর সমর্থকেরা ভোটারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন। সেই ঘটনা থেকে ঝামেলা শুরু হতেই দ্রুত ওই জায়গা ছেড়ে চলে যান লালু-কন্যা।
সারণের পুলিশ সুপার গৌরব মাংলা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘হিংসা’র ঘটনায় যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে ফের উত্তপ্ত না হয়, সারণে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy