(বাঁ দিকে) প্রজ্বল রেভান্না। রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কর্নাটকে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে যৌন নির্বাচনে অভিযুক্ত কর্নাটকের জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার শিমোগায় কংগ্রেসের সভায় তিনি বলেন, ‘‘অন্তত ৪০০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছেন প্রোজ্জ্বল। আর জঘন্য সেই ঘটনাগুলির ভিডিয়ো তিনি তুলে রাখতেন।’’ রাহুলের অভিযোগ, প্রজ্বল-কাণ্ড নিছক যৌন কেলেঙ্কারি নয়, গণধর্ষণের ঘটনা!
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতির হয়ে ভোট প্রচারের জন্য নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘‘এক গণধর্ষণকের পক্ষে ভোটপ্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। গত সপ্তাহে প্রজ্বলের যৌন কুকীর্তির হাজার তিনেক ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ভরা একটি পেন ড্রাইভ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারী বিজেপি নেতা দেবরাজ গৌড়ার দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে হাসনের সাংসদ কয়েক হাজার মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিয়ো নিজেই তুলে রাখতেন।
কেন এমন করতেন দেবগৌড়ার নাতি? দেবরাজ বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেল করাই উদ্দেশ্য ছিল প্রজ্বলের।’’ ঘটনার পরেই অবশ্য দেশ ছেড়েছেন দেবগৌড়ার নাতি। দেবরাজের অভিযোগ, প্রজ্বলকে মদত দিয়েছেন তাঁর বাবা রেভান্নাও। ঘটনাচক্রে, কর্নাটকে এখন বিজেপির সহযোগী জেডিএস। ফলে দেবগৌড়া পরিবারের পাশাপাশি কংগ্রেস নিশানা করেছে পদ্মশিবিরকেও। বুধবার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, মোদী সরকার প্রজ্বলকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটক পুলিশ। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার সুপারিশ করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘যৌন কুকীর্তির ভিডিয়ো’ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এক্স হ্যান্ডলে প্রজ্বল লেখেন, ‘‘সত্য সামনে আসবেই।’’ পাশাপাশি, প্রজ্বল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে ‘সিট’-এর সামনে হাজিরার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy