—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নতুন করে ধস এবং পাহাড় থেকে পাথর পড়া চলতে থাকায় নতুন করে সংস্কারের জন্য বন্ধ হচ্ছে সিকিম ও কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। আজ, শনিবার ৩০ মার্চ থেকে আগামী ১ এপ্রিল অবধি রাস্তাটি বন্ধ থাকছে। শুক্রবার সড়কের দুটি এলাকায় ফের ধস নামে। তার পরেই কালিম্পঙের জেলাশাসক বালা সুব্রহ্মণ্যন টি নির্দেশিকা জারি করে রাস্তা বন্ধের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে গত দু’সপ্তাহে একাধিক বার রাস্তাটি বন্ধ থাকল। গরমে পর্যটন মরসুমের শুরুতেই জাতীয় সড়কটির এই হাল নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটন সংগঠনগুলিও। ইতিমধ্যে রাস্তাটির দায়িত্ব রাজ্যের হাত থেকে নিয়ে কেন্দ্রের হাতে দেওয়ার দাবিও দিল্লিতে জমা পড়েছে।
কালিম্পঙের জেলাশাসক বলেন, ‘‘রাস্তাটি অত্যন্ত সংকীর্ণ এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। নতুন করে ধসের জেরে, ছোট গাড়ি যেতেও সমস্যা হচ্ছে। তাই তিন দিন রাস্তাটির সংস্কার করার জন্য পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। সিকিম এবং কালিম্পং ঘুরপথে যেতে হবে।’’
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নির্দেশিকা অনুসারে ছোট গাড়ি ঘুরপথে সিকিমের রংপো থেকে মুনসং, ১৭ মাইল থেকে আলগাড়া, লাভা গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি আসবে। এর বাইরে, মেল্লি, চিত্রে, কালিম্পং শহর, লাভা, গরুবাথান হয়েও ছোটগাড়ি শিলিগুড়ি সমতলে চলাচল করতে পারবে। পণ্যবাহী গাড়িও কালিম্পং শহরের ‘রুট’ দিয়ে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা অবধি চলবে। রেশি, পেডং, আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি রুটে ২৪ ঘণ্টা পণ্যবাহী গাড়ি চলতে পারবে। পূর্ত দফতরের তরফে লিকুভির, রবিঝোরা, ২৯ মাইলের মতো এলাকায় পাহাড় কেটে রাস্তা চওড়া করা হবে। আপাতত বৃষ্টি কমায় প্রশাসন দু’দিন ধরে এ কাজ করবে বলে ঠিক করেছে।
এ দিন সকালেও ১০ জাতীয় সড়কে বিরাট যানজট তৈরি হয়। সকালেই দফায় দফায় ধস নামে রবিঝোরা এবং লিকুভিরে। মাঝে কয়েক দফায় রাস্তার পাথর, মাটি সরিয়ে একমুখী লেনে ছোট গাড়ি চললেন, দুপুরের পরে রাস্তার পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়।
‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘মার্চেই এই হাল হলে, ভরা বর্ষায় রাস্তাটি কী হবে ভেবে শিউরে উঠছি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy