প্রজ্বল রেভান্না। —ফাইল চিত্র
ধর্ষণের অভিযোগ ‘ভুয়ো’! প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে কর্নাটকের রাজ্য রাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন এমনই দাবি করল জাতীয় মহিলা কমিশন। তাদের বক্তব্য, অভিযোগকারিণীদের মধ্যে এক জন কমিশনের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন, চাপ দিয়ে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। কমিশনের বক্তব্যকে সামনে রেখে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দেগেছে প্রজ্বলের দল জেডিএস।
কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রজ্বলের কাকা এইচডি কুমারস্বামী বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন যে, যৌন নিগ্রহের তদন্তে গঠিত কর্নাটক সরকারের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) ‘নির্যাতিতাদের’ মিথ্যা অভিযোগ করতে বাধ্য করছে। তাঁর আরও অভিযোগ, সিটের নির্দেশ না মানলে তদন্তকারীরা ওই মহিলাদের যৌনকর্মী হিসাবে তুলে ধরার হুমকি দিচ্ছেন। কুমারস্বামীর কথায়, “নির্যাতিতাদের বাড়ি গিয়ে তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন সিটের আধিকারিকেরা। বুঝতে পারছেন তো, কী ভাবে তদন্ত চলছে?” কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে তোপ দেগে কুমারস্বামীর সংযোজন, “ওঁরা বলছেন, ২৯০০ জনেরও বেশি নির্যাতিতা রয়েছেন। কিন্তু কোথায় তাঁরা? রাজ্য সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।”
সিটের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ করে প্রজ্বলের দল সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছে। প্রসঙ্গত, জেডিএসের অন্যতম রাজনৈতিক ঘাঁটি হাসন লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের প্রার্থী প্রজ্বলের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রজ্বলের যৌন কুকীর্তির হাজার তিনেক ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ভরা একটি পেন ড্রাইভ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারী বিজেপি নেতা দেবরাজ গৌড়ার দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে হাসনের সাংসদ কয়েক হাজার মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিয়ো নিজেই তুলে রাখতেন। বিতর্ক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই দেশছাড়া তিনি। প্রজ্বলকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে একাধিক পদক্ষেপ করেছে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার। জারি করা হয়েছে ব্লু কর্নার নোটিসও। ‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে প্রজ্বলের পিতা এইচডি রেভান্নারও। এক মহিলাকে অপহরণ করার অভিযোগে গত ৪ মে সিটের হাতে গ্রেফতার হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy