Advertisement
Back to
Presents
Associate Partners
Water Crisis

৪০ বছরেও বসেনি জলের লাইন, তীব্র গরমে জলসঙ্কট হাওড়ার শেখপাড়ায়, ভোট বয়কটের ভাবনা

সাংসদ প্রসূনের দাবি, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা ঠিকঠাক পাঠায়নি কেন্দ্র। তাই জলের চাহিদা মেটাতে পারেননি। পাল্টা কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেছেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী।

পুর এলাকা, তবুও জলের দেখা নেই!

পুর এলাকা, তবুও জলের দেখা নেই! — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হাওড়া শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৫৫
Share: Save:

হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন মৌখালী শেখ পাড়া। বছর চল্লিশ আগে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এলাকা। অথচ এখনও স্থায়ী পানীয় জলের সরবরাহ নেই ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের মৌখালী শেখপাড়ায়। এলাকার একমাত্র ট্যাপ কলটিও প্রায় দু’মাস ধরে খারাপ। ফলে জল কিনে খেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তীব্র গরমে কার্যত অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ জলের কষ্ট নিয়ে এ বার মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

সামনেই লোকসভা নির্বাচন। প্রতি বার ভোটের আগে মেলে গালভরা আশ্বাস। কিন্তু জল আসে না। তাই এ বার ভোট বয়কটের চিন্তাভাবনা করছেন এলাকার হাজার দেড়েক মানুষ। শেখ আহমেদ হোসেন নামে এক বাসিন্দা জানান, এক বালতি জল ১৫ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। অথচ কোনও জনপ্রতিনিধির দেখা মেলে না। তিন বারের সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় জানান, তাঁর সাংসদ তহবিলের টাকা কেন্দ্র ঠিকমতো দেয়নি। তাই ইচ্ছে থাকলেও অনেক কাজ করে ওঠা যায়নি। তবে তাঁর আশ্বাস, এ বার জিতলে জলের সমস্যা মিটে যাবে। এ নিয়ে প্রসূনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘সাংসদ কোটার টাকায় যা খরচ হয়েছে সেটা অস্বচ্ছ। উনি আগে কাজের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন।” বছর সত্তরের বৃদ্ধা মমতাজ বেগম বলেন, ‘‘গোটা রমজান মাস কল খারাপ। বার বার কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওই ব্যস্ত রাস্তা টপকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে ও পারে এক জ্ঞাতির বাড়ি থেকে জল আনতে হয়েছে।’’

হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খারাপ টিউবওয়েল খুব শীঘ্রই সারিয়ে দেওয়া হবে। ওই এলাকার জল সরবরাহ দেখে কেএমডিএ। ওই দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। জল সমস্যা মিটে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE