ছবি: সংগৃহীত।
কঙ্গনা রানাওয়াত এবং হৃতিক রোশনের সম্পর্কের কাদা ছোড়াছুড়ি যেন শেষই হচ্ছে না। কখনও সংবাদংমাধ্যমে, কখনও টুইটে। বক্তব্য আর পাল্টা বক্তব্যে কেউ কাওকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। প্রায় এক বছর হতে চলল দুই প্রাক্তনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ঝামেলা বলিউডের মুখরোচক গসিপে পরিণত হয়েছে। সম্পর্ক ছিল কি ছিল না, এই তর্ক বিতর্কের বাইরে হৃতিক-কঙ্গনা একে অপরকে কালি ছুড়তেই ব্যস্ত।
আরও পড়ুন:
কঙ্গনা-হৃতিক বিতর্কে কী বলছে বলিউড
একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য। কখনও হৃতিক রোশনের বিরুদ্ধে ইমেল হ্যাক করার অভিযোগ, কখনও বা তাঁকে মানসিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগকে প্রকাশ্যে এনেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। আবার কখনও হৃতিককে সরাসরি ‘কাকা’ বলে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনার দিদি রঙ্গোলি চান্দেল। গোটা ব্যাপারটিতেই এতদিন চুপ ছিলেন হৃতিক। এ বার সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। ফেসবুক ওয়ালে তাঁর বিস্ফোরক ‘স্টেটমেন্ট’ ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বি-টাউনে।
কী বললেন হৃতিক?
‘‘আমি সৃজনশীলতা, উত্পাদনশীলতা এবং গঠনমূলক কাজ করতে আগ্রহী। এর বাইরে সবকিছুকেই আমি উপেক্ষা করব এবং বাতিলের তালিকায় ফেলব।’’ উপেক্ষাই আসল পথ যার দ্বারা যে কোন অপছন্দের এবং জটিল সমস্যাকে সহজেই সমাধান করা যায়। তিনি জানান, ‘‘শরীরের কোনও রোগকে উপেক্ষা করলে যেমন ধীরে ধীরে সেটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমনই মারাত্মক আকার নিয়েছে।’’
নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই লাইমলাইটে চলে এসেছেন কঙ্গনা এবং হৃতিক। বিষয়টি এখন শুধু দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মাঝখানে থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নম্বরের মতো ঢুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্সপার্ট কমেন্টও করেছেন অনেকে। তাই এই বিষয়ে অকপট হৃতিকের দাবি, ‘‘আমি মনে করি মিডিয়াও এই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে তেমন আগ্রহী নয়। তাই এই সার্কাসে যোগ দিতে আমি আগ্রহী নই।’’ সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘‘আমাকে একটা নোংরা বিষয়ের মধ্যে টেনে আনা হয়েছে। সত্যি কথাটা হল, গোটা জীবনে ওই মহিলার সঙ্গে আমার সে ভাবে সাক্ষাত্ই হয় নি। হ্যাঁ, আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি বটে, তবে একান্তে কখনও সময় কাটাইনি।’’
ব্যক্তিগত জীবনকে কখনওই প্রচারের আলোয় নিয়ে আসতে পছন্দ করেন না বলেই জানিয়েছেন হৃতিক। তাঁর কথায়, ‘‘দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন, আমার লড়াই কোনও অভিযোগ বা ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে নয়। বরং, ভবিষ্যতে আরও বড় এবং সাঙ্ঘাতিক কোনও ঘটনা ঘটার থেকে নিজেকে রক্ষা করছি মাত্র।’’…..‘‘কোনও প্রমাণ, কোনও সাক্ষী, কোনও পাপারাৎজি-র ছবি এটা প্রমাণ করে না যে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে কী হয়েছিল। কোনও কিছুই একটা রোমান্টিক সম্পর্ক প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়।’’…..‘‘একমাত্র প্রমাণ যা মিডিয়ার কাছে রয়েছে সেটা হল ফোটোশপে তৈরি একটা ছবি। যেটা মিডিয়া তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই আমার পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে।’’
হৃতিক বলেছেন, ‘‘আমি কখনও রেগে যাইনা। জীবনে খুব কম সময় আমি রাগ করেছি। কারও সঙ্গে কখনও সঙ্ঘাতের পথে যায়নি, তা মহিলা হোক বা পুরুষ। এমনকী আমার বিবাহবিচ্ছেদের সময়তেও নয়। আমি চাই, আমার চারপাশে সবাই শান্তিতে থাকুন।’’ (সংক্ষেপে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy