আমার ভীষণ প্রিয় নভ্যা এবং আরাধ্যা,
তোমাদের দু’জনের কাঁধেই মূল্যবান উত্তরাধীকারের দায়িত্ব রয়েছে। আরাধ্যা ডক্টর হরিবংশ রাই বচ্চনের উত্তরাধিকার বহন করছ... আর নভ্যা শ্রী এইচপি নন্দার।
…তোমরা নন্দা বা বচ্চন যে পদবীই ব্যবহার কর না কেন, মনে রেখ তোমরা মেয়ে। সুতরাং মানুষ তোমাদের ওপর নিজেদের ভাবনাচিন্তা জোর করে চাপাতে চাইবে। তারা তোমাদের বলে দেবে কী ভাবে পোশাক পরবে, কী ভাবে ব্যবহার করবে, কাদের সঙ্গে মিশবে, কোথায় তোমরা যাবে…সব…।
কিন্তু অন্যের বিচার-বিবেচনার ছায়ায় বেঁচো না, নিজের পছন্দ তৈরি কর। কেউ যেন এটা মনে না করেন তোমার স্কার্টের ঝুল কতটা, সেটা দেখে তোমার চরিত্র বোঝা যাবে। …যত ক্ষণ না তুমি নিজে বিয়ে করতে চাইছ, তত ক্ষণ অন্য কোনও কারণের জন্য বিয়ে কোরো না। অনেকে অনেক ভয়ঙ্কর কথা বলবে, কিন্তু সকলের কথাই শুনতে হবে এর কোনও মানে নেই। আর এটা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করবে না। দিনের শেষে তোমাকেই যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতে হবে, ফলে তোমার হয়ে অন্য কেউ যেন সিদ্ধান্ত না নেয়।
নভ্যা, তোমার নাম বা পদবীর জন্য যে সম্মান তুমি পাও, তা কিন্তু মহিলা হওয়ার জন্য যে সব সমস্যায় তুমি পড়বে, তা থেকে তোমাকে বাঁচাবে না।
অমিতাভের লেখা সেই চিঠি।
আরাধ্যা, যখন তুমি আমার এই কথাগুলো বুঝতে পারবে, তখন হয়তো আমি আর থাকব না। কিন্তু আমার মনে হয় আমার আজকের কথাগুলো তখনও সময় উপযোগী থাকবে।
এটা মেয়েদের জন্য খুব কঠিন একটা সত্যি। কিন্তু আমি নিশ্চিত তোমাদের মতো মেয়েরা এই সত্যিটাকে বদলে দিতে পারবে।
কাজটা কঠিন, কিন্তু তোমরা একটা উদাহরণ তৈরি করবে আমি নিশ্চিত। আমি যা যা করেছি, তোমরা তার থেকে আরও ভাল কিছু করবে সে বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। অমিতাভ বচ্চন হিসেবে নয়, বরং তোমাদের দাদু হিসেবে পরিচিত হওয়াটা আমার গর্বের বিষয়।
ভালবাসা নিও,
তোমার দাদাজি
তোমার নানা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy