উত্তর কোরিয়ার পেশী প্রদর্শন। —ফাইল চিত্র।
যে কোনও মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। হুঁশিয়ারি দিল উত্তর কোরিয়া। বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য আমেরিকাই দায়ী থাকবে বলেও পিয়ংইয়ং-এর তরফে মঙ্গলবার মন্তব্য করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা। সেই বিরাট সামরিক মহড়া সম্পর্কে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত কিম ইন-রিয়ং মঙ্গলবার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। আমেরিকা যে ধরনের যুদ্ধ চায়, ঠিক সেই ধরনের যুদ্ধেই তাদের জবাব দিতে প্রস্তুত উত্তর কোরিয়া— মন্তব্য কিম জং-উনের দূতের।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানিয়েছেন, জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবে আমেরিকা। পূর্ব এশিয়ায় চলতে থাকা সঙ্কটের সমাধান খুঁজে বার করতে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করতে যা কিছু করা দরকার, আমেরিকা তা করবে। আশ্বাস পেন্সের। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্টের এই বার্তার পরেই উত্তর কোরিয়া ফের চড়া প্রতিক্রিয়া জানাল। কারণ, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার অর্থ হল উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র নষ্ট করতে এবং পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য করা।
আরও পড়ুন: বুকে হাত দাও! ট্রাম্পকে খোঁচা মেলানিয়ার, ভিডিও ভাইরাল
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াকে ‘বৃহত্তম আগ্রাসী সামরিক মহড়া’ আখ্যা দিয়েছেন কিম ইন-রিয়ং। কোরীয় উপদ্বীপকে আমেরিকা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান করে তুলেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। উত্তর কোরিয়ার উপ-বিদেশ মন্ত্রী হ্যান সং রিয়ল জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া সাপ্তাহিক, মাসিক এবং বার্ষিক ভিত্তিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ চালিয়ে যাবে। আমেরিকা কোনও সামরিক পদক্ষেপ করলেই পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বলে তাঁর হুঁশিয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy