কিম জং উন।— ফাইল চিত্র।
অপেক্ষা শুধু একটা বোতাম টেপার। আর তাতেই নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন কিংবা আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের যে কোনও ‘টার্গেট’ ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারে উত্তর কোরিয়া। গত কাল রাতে নয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে এমনটাই হুমকি দিলেন কিম জং উন। কিমকে উদ্ধৃত করেই পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি আজ জানিয়েছে, আন্তঃমহাদেশীয় এই ক্ষেপণাস্ত্র সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। চলতি মাসের গোড়ায় উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল, এটি তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী এবং আরও দূরপাল্লার।
গোটা বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, কিমের তর্জনী আবারও সেই আমেরিকার দিকেই! পাল্লা দিয়ে তাই সুর চড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। উত্তর কোরিয়ার নয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া’ বলে কড়া নিন্দা করে ট্রাম্প আজ লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, কিম এ ভাবে নিজের দেশকেই আরও কোণঠাসা করছেন। অর্থনৈতিক ভাবে নিজের দেশবাসীকেই পিছনে ঠেলছেন।
প্রকাশ্যে অবশ্য কিমের হুমকিকে আমল দিতে চাইছে না পেন্টাগন। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক বোমা যুক্ত করার মতো প্রযুক্তি কিমের দেশ আদৌ রপ্ত করতে পেরেছে কি না, তা নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সোল কিংবা টোকিও আবার কোনও ভাবেই কিমের এই হুমকিকে ফাঁকা আওয়াজ মানতে নারাজ। চিন সীমান্ত লাগোয়া মুপায়ং-নি থেকে গত কাল হওসং-১৪ মডেলের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। সূত্রের খবর, সেটি প্রায় ৪৫ মিনিট আকাশে ওড়ে। ৩৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে গিয়ে প়ড়ে জাপান সাগরে। দু’দেশেরই ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এটা যদি অনুভূমিক ভাবে ছাড়া হয়, তা হলে কিন্তু তা নিউ ইয়র্ক, বস্টন কিংবা আলাস্কায় আছড়ে পড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy