ফের আফগানিস্তানে আক্রান্ত ভারত।
রবিবার রাতে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফের ভারতীয় কনস্যুলেট চত্বর। হামলাকারী দুই জঙ্গি ছাড়া গভীর রাত পর্যন্ত আর কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই থামেনি। কনস্যুলেট সূত্রে খবর, গভীর রাত পর্যন্ত কনস্যুলেটের ঠিক পাশেই একটা তিনতলা বাড়ি থেকে গুলি চালিয়ে গিয়েছে আরও দুই জঙ্গি।
দিন কয়েক আগেই আফগান সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন পার্লামেন্ট ভবন উদ্বোধন করে দু’দেশের যোগসূত্র আরও দৃঢ় করার কথাও বলেছিলেন তিনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আজ আফগান শহরে এক ভারতীয় কনস্যুলেটে আক্রমণ।
ওই কনস্যুলেটে এক কর্মরত অফিসার মাঝরাতে সংবাদ সংস্থাকে ফোনে জানান, ‘‘আমরা আক্রান্ত। জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে।’’ তার কিছু ক্ষণ পরে আর এক অফিসার বি সরকার অবশ্য আশ্বস্ত করেন যে, তাঁরা সবাই নিরাপদেই আছেন। একটি অসমর্থিত সূত্রে খবর, কনস্যুলেটের দুই স্থানীয় নিরাপত্তারক্ষী এই হামলায় জখম হয়েছেন। তবে কনস্যুলেট সূত্রে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। প্রথম দফায় ২০ মিনিট ধরে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। তখনই দুই জঙ্গি নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মারা যায়। বাকি দু’জন কনস্যুলেটের পাশেই একটি তিনতলা বাড়ি থেকে রাত পর্যন্ত হামলা চালিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে তারা। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোনও ভারতীয়ের মৃত্যু হয়নি।
আফগানিস্তানে ভারতীয়েরা আক্রমণের লক্ষ্য হয়েছেন বারবার। ২০০৮ সালের ৭ জুলাই কাবুলে ভারতীয় দূতাবাসে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৫৮ জনের। আহত হন ১৪১ জন। ২০১৩-র অগস্টে জঙ্গি আক্রমণের শিকার হতে হয়েছিল ভারতীয় দূতাবাসকে। সে বার আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে এই হামলায় নিহত হন ন’জন আফগান। তাদের মধ্যে অনেকেই শিশু। হেরাটের ভারতীয় কনস্যুলেটেও ২০১৪ সালে জঙ্গি আক্রমণ হয়। জঙ্গি-পুলিশ সংঘর্ষে সে বার মৃত্যু হয় চার জঙ্গিরই।
আজ সেই তালিকায় যোগ হল মাজার-ই-শরিফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy