সেই ভুতুড়ে ট্রেন।
ভূত নয়। একটা ভুতুড়ে ট্রেনের গল্প!
ট্রেনটা হু হু করে ছুটে যায় ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের গ্রাম আর মফস্বলগুলোর ওপর দিয়ে। উল্কার গতিতে। লিড্স থেকে ছোট্ট একটা শহর স্নেইথ পর্যন্ত। সোম থেকে শনিবার, রোজ। লিড্স থেকে ট্রেনটা ছাড়ে এক বারই, বিকেলে। কিন্তু স্নেইথ থেকে ফিরতি ট্রেন থাকে দু’টো। একটা- সাত সকালে। অন্যটা, সন্ধ্যায়। পথে পড়ে এমন দশটি স্টেশন, যেখানে কোনও যাত্রীই থাকেন না ওই ট্রেনে। একেবারে ফাঁকা কামরা নিয়ে ওই স্টেশনগুলোর ওপর দিয়ে হু হু করে ছুটে যায় ট্রেনটি।
আরও পড়ুন: ভুতুড়ে সেই ১০ স্টেশন...
এমনটা যে একেবারে হালে হচ্ছে, এমন নয়। হচ্ছে, প্রায় বিশ বছর ধরে।
‘ভুতুড়ে’ স্টেশন। যাত্রীর অভাবে ফাঁকা বাইক-স্ট্যান্ড।
লিড্স কিন্তু, লন্ডনের পরেই ব্রিটেনে সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেন-স্টেশন। তবু ওই রুটে লিড্স থেকে কোনও যাত্রীই ওঠেন না ওই ট্রেনে। যদি ওই রুটের ওই দশটি স্টেশনে কারও নামার কথা থাকে, তা হলে ওই ট্রেনে চেপে তার আগের বা পরের স্টেশনগুলোয় নেমে পড়েন যাত্রীরা। ভূতের ভয়ে। তার পর বাসে বা অন্য কোনও ভাবে তাঁরা পৌঁছে যান তাঁদের নিজ নিজ গন্তব্যে।
আরও পড়ুন- মহাকাশে এ বার ‘রূপকথা’ লিখবেন এই বঙ্গনারী!
লিডস স্টেশনে কেউ ট্কিট কাটতে গেলে, তাঁকে ওই দশটি স্টেশনের টিকিট দেওয়া হয় না। টিকিট দেওয়া হয় তার আগের বা পরের স্টেশনগুলোর জন্য।
এটা বছরের পর বছর ধরে হয়ে চলেছে। বহু বার ইতিউতি দাবি উঠেছে, ওই রুটে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে তা শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy