Advertisement
২০ মে ২০২৪

চাপে পড়ে কৌশল বদল চিনের, পাল্টা চাপ দিতে পাকিস্তানের হয়ে সওয়াল

ভারতের হয়ে আমেরিকা সুর চড়াতেই এ বার কৌশল বদল চিনের। ভারতের এনএসজি সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে আর আপত্তি নয়। চিনা মিডিয়ায় এ বার পাকিস্তানকে এনএসজি সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল শুরু হয়ে গেল। পরমাণু বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ভারতকে যদি কোনও ছাড় দেওয়া হয়, তা হলে সেই ছাড় পাকিস্তানকেও দিতে হবে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ১৮:৫৩
Share: Save:

ভারতের হয়ে আমেরিকা সুর চড়াতেই এ বার কৌশল বদল চিনের। ভারতের এনএসজি সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে আর আপত্তি নয়। চিনা মিডিয়ায় এ বার পাকিস্তানকে এনএসজি সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে জোর সওয়াল শুরু হয়ে গেল। পরমাণু বাণিজ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যপদ দেওয়ার জন্য ভারতকে যদি কোনও ছাড় দেওয়া হয়, তা হলে সেই ছাড় পাকিস্তানকেও দিতে হবে। এমনই দাবি তুলেছে চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম।

কূটনীতিকরা বলছেন, পাল্টা চাপের কৌশল নিয়েছে চিন। আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স— নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে এই চার দেশই ভারতের হয়ে ময়দানে। নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে এই চার দেশই সক্রিয়। এক মাত্র চিন বিপক্ষে। আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্সের সক্রিয়তায় আরও বেশ কয়েকটি এনএসজি সদস্য দেশ ভারতের বিরোধিতার পথ থেকে সরে এসেছে। তাই চিনের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এত দিন বেজিং নিজেদের অবস্থানের পক্ষে যুক্তি সাজাচ্ছিল। ভারতকে কেন এনএসজি-তে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়, সেই ব্যাখ্যাই বার বার দেওয়া হচ্ছিল চিনের তরফে। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সব স্থায়ী সদস্য এবং এনএসজি সদস্যদের সিংহভাগ ভারতের পক্ষে থাকায়, চিনের যুক্তি ক্রমশ ধার হারাচ্ছিল।

এই পরিস্থিতিতেই কৌশল বদল বেজিং-এর। ভারতকে কেন এনএসজি’র সদস্য হতে দেওয়া উচিত নয় বা নয়াদিল্লিকে আগে এনপিটি সই করতে হবে— এমন কথা আর বেজিং বলছে না। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে এ বার পাকিস্তানের সদস্যপদের পক্ষে সওয়াল করা শুরু হয়েছে। চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত বিষয়ে পাকিস্তানের রেকর্ড অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। চিনা মিডিয়ার সওয়াল, ‘‘এনএসজি সদস্যপদের প্রশ্নে ভারতকে যদি কোনও ছাড় দেওয়া হয়, তা হলে তা যেন অবশ্যই পাকিস্তানকেও দেওয়া হয়।’’

আরও পড়ুন: ভারত নিয়ে কথা হবে না সোলে, দাবি চিনের

কূটনৈতিক মহল বলছে, চিনের অবস্থানে এই বদল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অনেক চেষ্টা করেও যে নয়াদিল্লির প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন বাড়তে থাকা আটকানো যাচ্ছে না, তা বেজিং বুঝতে পারছে। রাশিয়ার মতো সহযোগী দেশও ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় চিনের উপর নমনীয় হওয়ার জন্য চাপ বাড়ছে। সেই চাপ কাটাতেই পাল্টা চাপ। নয়াদিল্লিকে ছাড় দিলে আপত্তি নেই। ইসলামাবাদকেও সেই ছাড়া দিতে হবে। বেজিং-এর নতুন অবস্থান এরকমই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE