পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই না করায় নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়ই রইল চিন। এনএসজিতে ভারতের প্রবেশে বরাবরই বড় বাধা চিন। রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের চিন সফরের ঠিক আগেই আগে সোমবার চিনা বিদেশ মন্ত্রক আবারও জানিয়ে দিল, নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই না করলে এনএসজিতে কোনও দেশের অন্তর্ভূক্তির বিপক্ষেই তাদের অবস্থান।
চার দিনের সফরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথমে চিনের গুয়ানঝাউ প্রদেশে পা রাখবেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। পরের দিন দুপুরে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার আগেই ফের আলোচনা কেন্দ্রে উঠে এল এই ইস্যু।
তবে শুধুমাত্র ভারতই নয়, এনএসজি নিয়ে ‘বন্ধু’ পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একই অবস্থানে রয়েছে চিন। কারণ, ভারতের মতো পাকিস্তানও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই করেনি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানিয়েছেন, ‘‘শুধু চিন নয় একই মনোভাব রয়েছে আরও অনেক দেশেরও। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে যে সমস্ত দেশ সই করেনি তারা এনএসজি-র সদস্য হতে পারবে কি না তা নিয়ে এখনও আলোচনার অবকাশ আছে। এ নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক তা সর্বসম্মত হওয়া উচিত। যে সব দেশ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই করেনি তাদের সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।’’। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও যে একই নীতি প্রযোজ্য তাও স্পষ্ট করেছে চিনা বিদেশ মন্ত্রক।
স্বাভাবিক ভাবেই চিনের এই অবস্থানে সন্তুষ্ট নয় ভারত। ভারতের যুক্তি, তাদের মতো ফ্রান্সও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই করেনি। তা সত্ত্বেও এনএসজি-র সদস্যপদ রয়েছে ফ্রান্সের। ভারতের এই যুক্তিকে অবশ্য মানতে নারাজ চিন। তাদের পাল্টা দাবি, এনএসজি-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নীতিতে সই করতে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই ফ্রান্সের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy