Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সু চি-র খেতাবও কাড়ল অক্সফোর্ড

১৯৯৭ সালে মায়ানমারের বিরোধী নেত্রী তখন জেলে। গণতন্ত্রের জন্য তাঁর লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়ে এই খেতাব দেয় অক্সফোর্ড।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

শ্রাবণী বসু
লন্ডন শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭ ০২:০৪
Share: Save:

ছবি সরিয়ে দিয়েছিল আগেই। এ বার তাঁর খেতাবও কেড়ে নিল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে পড়াশোনা করেছেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই এ বার মায়ানমারের নেত্রী তথা বর্তমান স্টেট কাউন্সিলর আউং সান সু চি-কে দেওয়া খেতাব ফিরিয়ে নিল। বিরোধী নেত্রী থাকার সময়ে জুন্টা শাসনের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে সু চি-কে ‘ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড’ সম্মান দেওয়া হয়। সেই মায়ানমারেই বর্তমান শাসক দলের নেত্রী হিসেবে রোহিঙ্গা সঙ্কট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় সু চি-র খেতাব ফিরিয়ে নেওয়ার নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল।

১৯৯৭ সালে মায়ানমারের বিরোধী নেত্রী তখন জেলে। গণতন্ত্রের জন্য তাঁর লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়ে এই খেতাব দেয় অক্সফোর্ড। আর এ বার অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত, মায়ানমারের নেত্রী ওই সম্মানের উপযুক্ত নন। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য ২৭ নভেম্বর বিশেষ বৈঠকও ডাকা হয়েছে।

গত কয়েক মাসে মায়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে রাষ্ট্রপুঞ্জও একে ‘জাতি নিধনের ভয়ঙ্কর উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত সু চি-র নীরবতায় আন্তর্জাতিক মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি করছে। এর প্রতিক্রিয়াও দেখা যাচ্ছিল বিরাট ভাবে। নেত্রী যেখানে পড়েছেন, সেই সেন্ট হিউ কলেজ সম্প্রতি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার মুখে রাখা সু চি-র প্রতিকৃতিটি সরিয়ে দেয়। অন্য অনেক নামী প্রতিষ্ঠানও সু চি-কে দেওয়া সম্মান বহাল রাখা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন ‘ইউনিসন’ গত মাসেই জানিয়েছে যে তারা সু চি-কে দেওয়া তাদের সাম্মানিক সদস্যপদ সাসপেন্ড করছে। একই পথে হাঁটছে ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটি। সু চি-র ভূমিকায় হতাশ এই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে দেওয়া খেতাব নিয়ে নতুন করে ভাবছে। গণতন্ত্রের লড়াইয়ে গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করায় লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স-এর ছাত্র সংসদের সাম্মানিক সভাপতির পদ দেওয়া হয় মায়ানমারের নেত্রীকে। সেই সম্মানও এখন টলোমলো।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE