—প্রতীকী চিত্র।
একই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বার বার অকেজো বা ভাঙা পণ্য পাওয়ার অভিযোগ আসছিল অনলাইন বিপণন সংস্থা আমাজন-এ। ডেলিভারির অল্প সময়ের মধ্যেই আমাজনের কাস্টমার সার্ভিস বিভাগে যোগাযোগ করে অভিযোগ জানানো হত যে, হাতে পাওয়া পণ্য বা পণ্যগুলি কাজ করছে না, বা সেগুলি একেবারেই ভাঙা। এর পর সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, আমাজন কর্তৃপক্ষ ভেঙে যাওয়া পণ্য পরিবর্তন করে দিত বিনামূল্যে। কিন্তু একই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার হওয়া পণ্যগুলির বারবার ত্রুটি ধরা পড়ায় সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। শুরু হয় তদন্ত। ডাক বিভাগ এবং স্থানীয় পুলিশের যৌথ তদন্তে সামনে আসে আসল তথ্য। জানা যায়, অনলাইনে শতাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আমাজনকে স্রেফ বোকা বানিয়েছেন এক প্রতারক দম্পত্তি। অনলাইনে শতাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে আমাজন থেকে পণ্য কিনেছিলেন তাঁরা। এর পর জিনিস খারাপ বলে আমাজনের কাছ থেকে নতুন পণ্য নিয়ে তা বিক্রি করে দিতেন অন্য আর এক জনকে। এই তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে পণ্যগুলি বড় শহরগুলিতে বিক্রি হয়ে যেত। জানা গিয়েছে, এই ভাবে ওই দম্পতি আমাজন থেকে প্রায় ১২ লক্ষ ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য চুরি করেছে। ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ৮ কোটি টাকার সমান।
আরও পড়ুন:
যুবককে পেট্রোল পাম্পে ধূমপানের ‘উচিত শিক্ষা’ দিলেন পাম্প কর্মী! দেখুন ভিডিও
মালিকের গলা নকল করে অনলাইন শপিং করল পোষা টিয়া!
এই বিশাল অনলাইন জালিয়াতির ঘটনাটি ঘটিয়েছেন আমেরিকার ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা এক দম্পতি। মার্কিন ওই যুগলের নাম জোসেফ ফিন্যান (৩৮) আর লিয়া জেনেত্তি ফিন্যান (৩৭)। ফিন্যান দম্পতি আমাজন থেকে যে সব পণ্য কিনেছিলেন তার বেশির ভাগই ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য স্মার্ট ওয়াচ, এক্স বক্স, গো প্রো ক্যামেরা ও আরও অনেক কিছু। ইন্ডিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি হওয়া এই পণ্যগুলি হাত বদল হয়ে বিক্রি হয়ে যেত নিউইয়র্কের এক বেনামী প্রতিষ্ঠানের কাছে। দীর্ঘ পুলিশি জেরায় ফিন্যান দম্পতি এই অনলাইন জালিয়াতির কথা স্বীকার করেছেন। খোঁজ চলছে তৃতীয় অভিযুক্তেরও। এই দু’জনের বিরুদ্ধে চুরি, জালিয়াতি, প্রতারণা-সহ বেশ কয়েকটি অপরাধের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। এই মামলায় গত বুধবার ফিন্যান দম্পতিকে ইন্ডিয়ানার একটি আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ৫ লক্ষ ডলার জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে অভিযুক্তদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy