Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দাভোস-মঞ্চে ট্রাম্পকে খোঁচা মোদীর

দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্পকেই খোঁচা দিয়ে বসলেন মোদী! পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করতে টেনে আনলেন ভাল জঙ্গি-খারাপ জঙ্গি প্রসঙ্গ। ফের খোঁচা মার্কিন নীতিকে!

বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।

বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব প্রতিবেদন
দাভোস শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৬
Share: Save:

স্বপ্ন ফেরি তো করলেনই, সেই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে ‘বন্ধু’ ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই খোঁচা দিয়ে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা বিশ্বের পরিবেশবিদ-বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ কার্যত ‘ধাপ্পা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! গত বছর প্যারিসে জলবায়ু চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হলেও ট্রাম্প এখনও মত বদলাননি। আর রাজনৈতিক সমীকরণে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল। কিন্তু দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের মঞ্চে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বলতে গিয়ে ট্রাম্পকেই খোঁচা দিয়ে বসলেন মোদী! পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করতে টেনে আনলেন ভাল জঙ্গি-খারাপ জঙ্গি প্রসঙ্গ। ফের খোঁচা মার্কিন নীতিকে!

আরও পড়ুন: গোধরা-তিক্ততা ভুলে কীসের টানে দাভোসে

মোদীর এ দিনের বক্তব্যে বারেবারে উঠে এসেছে বিশ্বায়নের খামতির কথা। মোদীর বক্তব্য, মুক্ত বানিজ্যের পথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে ভাবে পাঁচিল উঠছে, তাতে জৌলুস হারাচ্ছে বিশ্বায়ন। অনেকেই বলছেন, মোদীর এই বক্তব্যেও পরোক্ষে নিশানা করা হয়েছে আমেরিকাকেই। কারণ ট্রাম্পের আমলে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির ফলে ধাক্কা খাচ্ছে ভারত-সহ একাধিক দেশ। মোদীর বক্তব্য, বিশ্বায়নের সুফল সবার কাছে ঠিক মতো পৌঁছয়নি। উন্নয়নের আলো সবার কাছে পৌঁছচ্ছে না। ফলে বাড়ছে অসাম্য। এর জন্য অনেকে উদার অর্থনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

স্বমহিমায়: বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সুইৎজারল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার বরফে ঢাকা দাভোসে। ছবি: টুইটার

দাভোসের মঞ্চ থেকে বলা মোদীর বক্তব্য এ দিন বিপুল প্রশংসা কুড়িয়েছে সব মহলের। কিন্তু সেই সঙ্গে জুটেছে কাঁটাও। ভারতের আর্থিক অসাম্য নিয়ে সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এ দিন সরব হয়েছে বিরোধীরা। ‘অক্সফ্যাম’-এর ওই রিপোর্টের বক্তব্য, দেশের জনসংখ্যার ১ শতাংশের হাতে রয়েছে ৭৩ শতাংশ সম্পদের মালিকানা! সমীক্ষা রিপোর্টের বক্তব্য, এ থেকে বোঝা যায়, ভারতে আর্থিক বিকাশের সুফল দরিদ্রদের মধ্যে পৌঁছচ্ছে না। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আসরে নামেন। মোদী যখন দাভোসের মঞ্চে ভারতের অর্থনীতির উজ্জ্বল ছবি আঁকছেন, তখন টুইটারে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘সুইৎজারল্যান্ডে স্বাগত! দয়া করে দাভোসে বলুন, জনসংখ্যার ১ শতাংশের হাতে মোট সম্পদের ৭৩ শতাংশ গেল কী ভাবে?’’ পাশাপাশি, দাভোসে এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী এক সময় বলেন, ‘‘ছ’শো কোটি ভারতীয় আমাকে ভোট দিয়েছেন!’’ এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়ে যায় তুমুল ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE