টেরেসা মে।
চাপটা বাড়ছিল। শেষমেশ ইস্তফাই দিলেন যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষাসচিব মাইকেল ফ্যালন।
গত কয়েক দিন ধরেই যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। একের পর এক সামনে এসেছে কনজারভেটিভ এমপি-দের নাম। দু’দিন আগে ফ্যালন নিজেই যৌন হেনস্থার ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তার পর থেকেই চাপ বাড়ছিল টেরেসা সরকারের উপর। বিরোধীরা বলতে শুরু করেন, যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এমপি-দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপই করতে চাইছে না বর্তমান সরকার। টেরেসা জানান, পার্লামেন্টের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
ফ্যালনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবশ্য বহু পুরনো। ২০০২ সালে এক অনুষ্ঠান শেষের পার্টিতে এক মহিলা সাংবাদিকের হাঁটুতে অশালীন ভাবে স্পর্শ করেছিলেন তিনি। জুলিয়া হার্টলে ব্রুয়ার নামে ওই সাংবাদিক জানিয়েছিলেন, তিনি তখন প্রতিবাদ করায় ফ্যালন ক্ষমাও চেয়ে নেন। কিন্তু গত রাতে ফ্যালনের ইস্তফার খবর শুনে অবশ্য হার্টলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এর থেকে কোনও হাস্যকর ঘটনায় কেউ ইস্তফা দিয়েছেন বলে তো মনে পড়ে না।’’ ওয়েস্টমিনস্টারের অন্দরমহলে অবশ্য কানাঘুষো, ফ্যালনের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আরও রয়েছে। সেগুলি প্রকাশ্যে চলে এলে তখন আর অস্বীকার করার পথ থাকবে না তাঁর। তাই আগেভাগেই ইস্তফা।
আজ সাংবাদিকদের দেওয়া বিবৃতিতে ফ্যালন অবশ্য বলেছেন, ‘‘১৫ বছর আগে যা চলত, এই যুগে দাঁড়িয়ে সেগুলো আর গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
টেরেসা মে অবশ্য ফ্যালনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। যদিও মে-র অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ড্যামিয়েন গ্রিন। বিদেশ সচিব তথা মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন কেট মাল্টবি নামে এক কনজারভেটিভ কর্মী। তবে সেই ঘটনাও দু’বছর পুরনো। ডাউনিং স্ট্রিটের এক সূত্র জানাচ্ছে, গ্রিনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ক্যাবিনেট সচিবকে। গ্রিন অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy