পাকিস্তানের দুরভিসন্ধি কোনও ভাবেই সফল হতে দেওয়া হবে না, এই বার্তাই কি দিতে চাইছেন হাসিনা?
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক তলানিতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের নাক গলানোর প্রবণতা একেবারেই ভাল চোখে দেখছে না সেখ হাসিনার সরকার। তাই আজ, বুধবার, থেকে ইসলামাবাদে শুরু হওয়া সার্ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক সূত্রেই এই খবর জানা গিয়েছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ইসলামাবাদের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। তা নিয়ে পাকিস্তানে কট্টরবাদী সংগঠন এবং বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত গণসংগঠনগুলি বিক্ষোভ শুরু করেছে। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত-পাক উত্তেজনা চরমে পৌঁছনোর জেরেই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাক সফরের বিরোধিতায় গোটা পাকিস্তানকে উত্তাল করে তোলার চেষ্টা করছে কট্টরবাদী গোষ্ঠীগুলি। সার্ক দেশগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিতে ইসলামাবাদ যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও। তাঁর পাকিস্তান সফর আটকানোর কোনও চেষ্টাও কট্টরবাদী গোষ্ঠীগুলি করেনি। কিন্তু মাস সাতেক আগে ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র কূটনৈতিক টানাপড়েনে যে এখনও ইতি পড়েনি, তা স্পষ্ট হয়ে গেল আসাদুজ্জামান খান পাকিস্তান না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। সাত মাস আগে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ পরস্পরের রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করেছিল। সেই চরম উত্তেজনা এখন নেই ঠিকই। কিন্তু বাংলাদেশে অশান্তি ছড়ানোর যে চেষ্টা পাকিস্তান ক্রমাগত চালিয়েছে যাচ্ছে, তা ঢাকা মোটেই ভাল চোখে দেখছে না। পাকিস্তানের এই অনৈতিক কার্যকলাপকে সার্ক-এর মঞ্চে তথা আন্তর্জাতিক মহলের সামনে আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরতেই বাংলাদেশের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আসাদুজ্জামান খান ইসলামাবাদ যাবেন না। কূটনৈতিক মহলে তেমনই খবর।
আরও পড়ুন: রাজনাথ এলেই অচল পাকিস্তান, হুমকি সইদের
আজ ৩ অগস্ট এবং আগামিকাল ৪ অগস্ট ইসলামাবাদে বৈঠক করবেন সার্ক দেশগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বাংলাদেশের তরফে ওই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার তারিক আহসান এবং উপ-স্বরাষ্ট্র সচিব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy