ব্রিক্স শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মুখোমুখি হলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এপি।
ডোকলামের মতো পরিস্থিতি যেন আর তৈরি না হয়। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই বিষয়েই সবচেয়ে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। এমনটাই জানালেন বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর। আড়াই মাস ধরে ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তে যে প্রবল সঙ্কট চলেছে, তার পর মোদী এবং চিনফিং প্রথম বার মুখোমুখি হলেন এই ব্রিকস শিখর সম্মেলনেই। প্রথম দিনের করমর্দনেই উষ্ণতার বার্তা ছিল। দ্বিতীয় দিনে হওয়া দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্পর্কের সেই উষ্ণতা আরও বাড়ানোর উপরেই জোর দিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভারতের বিদেশ সচিবের কথায়, ‘‘এই বৈঠক পিছনের দিকে তাকানোর জন্য ছিল না, এই বৈঠক ছিল সামনের দিকে তাকানোর জন্য।’’
আরও পড়ুন, কিমকে নিয়ে চাপে ব্রিক্স-ও
মোদী-চিনফিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বিদেশ সচিব এস জয়শঙ্কর সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি একাধিক বার জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি যে রকম ঘটনা ঘটেছে’, সে রকম যেন আর না ঘটে, দু’পক্ষই তা নিশ্চিত করার উপরে জোর দিয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনা বা সঙ্কট বলতে জয়শঙ্কর যে ডোকলামের কথাই বলেছেন, তা নিয়ে কোনও মহলেরই সংশয় নেই। কিন্তু বিদেশ সচিব, ‘ডোকলাম’ শব্দটি একবারও উচ্চারণ করেননি।
কার্টুন: অর্ঘ্য মান্না।
এ দিন ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং চিনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেও টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর সঙ্গে বৈঠক হল। ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হল।’’
আরও পড়ুন, পাক জঙ্গিদের নাম করে কঠোর বার্তা ব্রিকস মঞ্চ থেকে
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দু’পক্ষই জোর দিয়ে বলেছে, দু’দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হল শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। ‘‘দ্বিপাক্ষিক বিশ্বাস জোরদার করার উপর আরও জোর দিতে হবে।’’ বলেছেন বিদেশ সচিব।
বিশ্বাস বাড়াতে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর উপরেও বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে বলে খবর। বিদেশ সচিবের কথায়, দু’দেশের সামরিক বাহিনীকে পরস্পরের মধ্যে খুব নিবিড় যোগযোগ রেখে চলতে হবে, যাতে সাম্প্রতিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy