ছবি: রয়টার্স।
দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের প্রতিপত্তি রুখতে মার্কিন নৌসেনার নয়া পরিকল্পনায় সায় দিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের। ওই এলাকায় চিনা প্রতিপত্তির মোকাবিলা করতে সক্রিয় ভারতও।
দক্ষিণ চিন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে তাতে রাডার আউটপোস্ট, যুদ্ধবিমানের জন্য রানওয়ে ও ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার জন্য আশ্রয় তৈরি করছে বেজিং। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে চায় বেজিং। আমেরিকার মতো শক্তিশালী নৌসেনা তৈরিই তাদের লক্ষ। দক্ষিণ চিন সাগরের উপরে অধিকার নিয়ে একটি মামলায় চিনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু তা মানতে রাজি নয় বেজিং।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিসের তৈরি নয়া পরিকল্পনায় সারা বছর দক্ষিণ চিন সাগরে ঘোরাফেরা করবে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। ওই এলাকায় গতিবিধির জন্য অনেক বেশি স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে নৌসেনাকে। বারাক ওবামা জমানায় এই বিষয়ে প্রতিটি সিদ্ধান্তে ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো।
সম্প্রতি বাল্টিক সাগরে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ার জন্য যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চিন। আবার চিনকে বার্তা দিতে যৌথ নৌমহড়া করেছে আমেরিকা, ভারত ও জাপান। তার পরেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
সিকিম সীমান্তের ডোকলাম নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে ভারতের চাপ বাড়াতে বঙ্গোপসাগরে ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছিল চিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া মার্কিন পরিকল্পনা কার্যকর হলে দক্ষিণ চিন সাগরে প্রবল চাপে পড়বে চিন। তার ফলে ভারত বা জাপানের উপরে চাপ বাড়ানো বেজিংয়ের পক্ষে কঠিন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy