বন্দুকের প্রতি যে তাঁর বিশেষ ভালবাসা আছে, তা সকলেরই কমবেশি জানা। শিকারিদের উৎসাহ দিতে এ বার গোপনেই নয়া ছাড়পত্র দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
প্রতি বছরই বহু মার্কিন নাগরিক আফ্রিকা ভ্রমণে যান। আফ্রিকার জঙ্গলে শিকারও করেন। কিন্তু জয়ের স্মারক হিসেবে কিছুই আনা হত না এত দিন। মার্কিন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে আটকে যেত সেই সুপ্ত ইচ্ছে। সেই সব শিকারিকে উৎসাহ দিতে সম্প্রতি হাতি শিকারের ক্ষেত্রে আইনের ফাঁস খানিক ঢিলে করে দিয়েছিল মার্কিন ‘ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস’ (এফডব্লিউএস)। জানানো হয়েছিল, এর পর থেকে ‘ট্রফি’ হিসেবে আফ্রিকার জিম্বাবোয়ে বা জাম্বিয়া থেকে হাতির দাঁত বা শরীরের কোনও অংশ আনা যাবে। তাতে সাড়া মিলতেই এ বার গোপনে নয়া ছাড়পত্র— ট্রাম্পের বন্দুকের নলের সামনে বিপন্ন আফ্রিকার রাজাও।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ এবং বেলাগাম শিকার রুখতে ২০১৪ সালে বারাক ওবামা সরকার কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, নিহত পশুর কোনও দেহাংশ আফ্রিকা থেকে দেশে আনা যাবে না। নিঃশব্দেই সেই নির্দেশিকা বদলে ফেলেছে এফডব্লিউএস। মার্কিন সিংহ-শিকারিরা এ বার আফ্রিকা মহাদেশের ওই দুই দেশ থেকে ঘরে নিয়ে আসতে পারবেন ‘ট্রফি’। আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ওয়েন প্যাসেল বলেন, ‘‘এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করার বদলে মার্কিন সরকার শিকারের প্রচারে নেমেছে।’’
অতীতে ওয়াল্টার পামার নামে মিনেসোটার এক দন্তচিকিৎসক জিম্বাবোয়ের সংরক্ষিত অরণ্যে সেসিল নামে কালো কেশরের একটি সিংহকে হত্যা করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্যাসেল বলেন, ‘‘ওয়াল্টার পামারের মতো লোকজনের জন্যই রেড কার্পেট পেতে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy