গোটা অনুষ্ঠানে তাঁকে নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর ঢল। তাঁর বিবিধ কাজ নিয়ে সমালোচনা। তিনি না থেকেও ছিলেন পুরোপুরি। তবে সব কিছু জেনেও টুঁ শব্দটি করেননি। ভাবটা যেন, দেখাচ্ছি মজা!
তবু শেষমেশ মুখ খুলেছেন তিনি। এবং যথারীতি নিজের পছন্দের সংবাদমাধ্যমের কাছেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে দিয়েছেন, অস্কারের মঞ্চে ভ্রান্তিবিলাস হবে না তো কী! সারা ক্ষণ রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামালে এমনটাই হয়।
আগে থেকে পণ করে রেখেছিলেন, অস্কারের অনুষ্ঠান দেখবেন না। যদিও বিনোদন জগতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বহু দিনের। কিন্তু এ বারের অস্কার ছিল একেবারেই আলাদা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি হলিউডের কাছে যে মোটেই পছন্দের লোক নন, তা মঞ্চে উপস্থাপক জিমি কিমেল থেকে শুরু করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অনেকেই। কিছু দিন আগেই মেরিল স্ট্রিপের মতো প্রবীণ অভিনেত্রী ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করায় তাঁকেও ছাড়েননি ট্রাম্প। সাফ বলেছিলেন, ওঁকে নিয়ে ফালতু বাড়াবাড়ি করা হয়। এমন কিছু আহামরি অভিনেত্রী নন উনি। এই মন্তব্যও হলিউডকে চটানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল। আর তাই অস্কারের মঞ্চ সেটা ছত্রে ছত্রে বুঝিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আউটসোর্সিং বন্ধ করতে ফের বিল মার্কিন কংগ্রেসে, উদ্বেগ ভারতের বাজারে
তা অবশ্য করেননি তিনি। কিন্তু ওভাল অফিসে বসে সম্প্রতি পছন্দের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘ওরা রাজনীতি নিয়ে এত ব্যতিব্যস্ত ছিল যে শেষে নিজেদের কাজটাই ঠিকমতো করে উঠতে পারল না।’’ তাই এ বারের অস্কার তাঁর মতে, ‘‘ভীষণ ম্যাড়মেড়ে।’’ ট্রাম্পের মন্তব্য, ‘‘খারাপ লাগছিল। ভুলভ্রান্তির ঠেলায় অস্কারের জৌলুসটাই যেন হারিয়ে গেল। আমি আগেও অস্কারে গিয়েছি। এ বার বিশেষ কী একটা যেন উধাও। আর শেষটা তো
খুবই দুঃখজনক।’’
সেরা ছবির নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বিভ্রাট ঘটে গিয়েছিল অস্কার মঞ্চে। প্রথমে বলা হয়, ‘সেরা ছবি এমা স্টোন অভিনীত লা লা ল্যান্ড।’ যা শুনে ছবির টিম মঞ্চে উঠেও যায়। তার মধ্যেই ছন্দপতন। উপস্থাপক এসে জানালেন ভুল হয়েছে! এ বারের সেরা ছবি ‘মুনলাইট’।’’
ভুলের দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ‘প্রাইস ওয়াটারহাউসকুপার্স’। তাঁদের হিসেবরক্ষক ব্রায়ান কালিনানের হাত থেকেই ভুলবশত ‘সেরা ছবি: মুনলাইট’-এর জায়গায় ‘সেরা অভিনেত্রী: এমা স্টোন, লা লা ল্যান্ড’ লেখা খামটি চলে গিয়েছিল ঘোষকের হাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy