Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পর্নস্টারকে দেওয়া অর্থ নিয়ে ট্রাম্প অস্বস্তিতেই

  মাইকেল কোহেন নামে ওই কৌঁসুলি দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি ট্রাম্পের সংস্থায় চাকরি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘না প্রেসিডেন্টের দল, না ট্রাম্পের সংস্থা, কেউ আমাকে ওই অর্থ ফেরত দেয়নি। পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে, কোনও ভাবেই না।’’

স্টেফানি ক্লিফোর্ড

স্টেফানি ক্লিফোর্ড

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৪৫
Share: Save:

পর্ন তারকা স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল আগেই। এ বার প্রেসিডেন্টের দীর্ঘদিনের আইনজীবী দাবি করলেন, নিজের গ্যাঁটের কড়ি খসিয়ে ক্লিফোর্ডকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দিতে হয়েছিল তাঁকে।

মাইকেল কোহেন নামে ওই কৌঁসুলি দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি ট্রাম্পের সংস্থায় চাকরি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘না প্রেসিডেন্টের দল, না ট্রাম্পের সংস্থা, কেউ আমাকে ওই অর্থ ফেরত দেয়নি। পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে, কোনও ভাবেই না।’’ তবে কোহেনের এমন দাবিতে বহু প্রশ্নই উঠে এসেছে। যেমন, প্রেসিডেন্ট কি আদৌ জানতেন যে তিনি অর্থ মিটিয়েছেন? কেনই বা তিনি দিতে গেলেন? এর আগেও কি এ ধরনের কাজ করেছেন তিনি? কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেননি কোহেন। বরং সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।

‘স্টর্মি ড্যানিয়েলস’ নামে খ্যাত ক্লিফোর্ড যখন বারবার দাবি করে গিয়েছিলেন, ট্রাম্প ও মেলানিয়ার পুত্র ব্যারন হওয়ার পরপরই তাঁদের সম্পর্ক হয়েছিল, তখন কিন্তু কোহেন তাঁর মক্কেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ক্লিফোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এখন বলছেন, এ ভাবে যে অর্থের বিনিময়ে সম্পর্ক, সেটা তিনি ওই ঘটনাতেই জানতে পারেন। এ-ও জানিয়েছেন, এই একই বিবৃতি তিনি ফেডেরাল ইলেকশন কমিশনকেও দিয়েছেন। একটি সরকারি পর্যবেক্ষক দলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। তদন্তে কোহেনের নামও জড়িয়েছে। নিজেই বলেন, ‘‘এমনও কথা উঠেছিল, আমি কোনও ভাবে অর্থ আইন ভেঙে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের খাত থেকে অর্থ সরিয়েছি। এই অভিযোগ একেবারেই মানতে পারছি না। ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমার দাবির পক্ষে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ দিয়েছি।’’ তবে ক্লিফোর্ডকে নিয়ে আর টুঁ শব্দটিও করতে রাজি হননি কোহেন।

প্রেসিডেন্টের সংস্থায় কাজ করাকালীন কোহেনকে ট্রাম্পের ডান হাত বলেই জানতেন সকলে। ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ে সাংবাদিকদের তোপের মুখে রাখতেন, যাতে তাঁর মক্কেল সম্পর্কে নেতিবাচক খবর সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে না যায়। কিন্তু ওই সময়েই নতুন করে খবরে আসেন ক্লিফোর্ড। শোনা যাচ্ছে, ভোটের কিছু দিন আগেই ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাতেও শেষ রক্ষা হল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE