পাশে আছি। এএফপির তোলা ছবি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁ নারকীয় হামলার পরই বলেছিলেন, ‘ফ্রান্সে নয় বাইরের দেশে বসেই এই হামলার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করা হয়, তবে এতে পুর্ণ মদত জোগায় দেশের মধ্যে থাকা শত্রুরাই।’ বহির্বিশ্বের মদত কতটা তা তো তদন্তসাপেক্ষ তবে দেশের মধ্যের শত্রুরা যে জড়িত শুক্রবারের হামলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তার প্রমাণ মিলল। পরিচয় মিলল এক হামলাকারীর।
নিহত ওই জঙ্গির নাম ওমর ইসমাইল মোস্তেফাই। বছর ঊনত্রিশের ওই জঙ্গি প্যারিসের দক্ষিণ প্রান্তের শহরতলি কুরকুরনসের বাসিন্দা। ফরাসি পুলিশ সূত্রে খবর, শতাব্দী প্রাচীন বাতাক্লা থিয়েটারে হামলা চালায় ওই জঙ্গি। মার্কিন রক ব্যান্ড ইগলস অফ ডেথ মেটালের অনুষ্ঠান চলাকালীন বাতাক্লাঁ কনসার্ট হলে হানা দেয় ওমর এবং তার দলবল। প্রত্যেকেরই হাতে অটোমেটিক কালাশনিকভ রাইফেল এবং কোমরে সুইসাইড বেল্ট। পুলিশ আসার আগেই নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয় ওই জঙ্গি। তবে তার আগেই জঙ্গিদের জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৮৭ জনের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কট্টর মৌলবাদে দীক্ষিত ছিল ওমর। প্যারিসের সরকারি আইনজীবী ফ্রাঁসোয়া মোলিন্স জানিয়েছেন, পুলিশের খাতায় নাম ছিল ওই জঙ্গির। ২০১০ সালে তাকে মৌলবাদী হিসেবে চিহ্নিতও করে ফরাসি পুলিশ। শেষমেশ পুলিশের রেকর্ডে থাকা ফিঙ্গারফ্রিন্ট দেখেই চিহ্নিত করা গেল ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন্থে’ প্যারিসে হামলা চালানো ওমরের। তার বাবা এবং এক ভাইকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ফরাসি পুলিশ। খোঁজ চলছে নিহত জঙ্গির আরও পরিচিতেরও। তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
তিন দলে ভাগ হয়ে কসমোপলিটন শহর প্যারিসের সাত জায়গায় হামলা চালায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাত জঙ্গি। হামলার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গি সংগঠন। নিহত সাত জঙ্গির মধ্যে ছয় জন কোমরে বিস্ফোরক বাঁধা বেল্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। পুলিশের গুলিতে মারা যায় অপর জঙ্গি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy