—প্রতীকী চিত্র।
রাত জেগে পড়াশোনা করতে করতে একটা সময় একটু ক্লান্তই হয়ে পড়েছিল সে। তাই বলে বইপত্র গুটিয়ে ঘুমাতেও মন চাইছিল না। একঘেয়ে ভাবটা কাটাতে তাই অল্প সময়ের জন্য গুগ্ল খুলে বসেছিল। আর সেই ঘাঁটাঘাঁটির সময়ে একটা ওয়েব পেজ নজরে আটকে যায়। এই ওয়েব পেজের লিঙ্ক-এ ক্লিক করে ঢুকে সে বুঝতে পারে, সেখানে ঢুকতে গেলে বা কোনও বিশেষ তথ্য অনুসন্ধান করতে গেলে ‘সিকিউরিটি পাসওয়ার্ড’ বা ‘ইউজার নেম’ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আরও অবাক করা বিষয় হল, ওই ওয়েব পেজে গুগ্ল পরিষেবা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং গোপনীয় তথ্য অনায়াসেই পাওয়া যায়।
কিশোরটি বুঝতে পারে, এই ওয়েব পেজে ঢুকে গুগ্ল-এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সহজেই ‘হ্যাক’ করা যেতে পারে। একটুও দেরি না করে গুগ্ল সিকিউরিটি টিম-কে মেল করে গোটা বিষয়টি জানায় সে। গুগ্ল-এর পক্ষ থেকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয় ওই কিশোরকে। ব্যস, নিশ্চিন্ত! নিজের একটি ব্লগে ওই কিশোর লিখেছে, “ভেবেছিলাম, এটা গুগ্ল-এর সামান্য কিছু সমস্যা। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় হয়তো!”
আরও পড়ুন:
বয়স ১৬, মাসে আয় ১২ লক্ষ টাকা!
হরিয়ানার এই ছাত্র গুগ্লে দেড় কোটির চাকরি পায়নি?
কিন্তু, এর ক’দিন পরই গুগ্ল-এর একটি মেল পেয়ে রীতিমতো চমকে ওঠে সে। ‘ভালনেরাবিলিটি রিওয়ার্ড প্রোগ্রাম’ (ভিআরপি) অনুযায়ী, সংস্থার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি (বাগ) ধরিয়ে দেওয়ার গুগ্ল-এর পক্ষ থেকে কিশোরকে পুরস্কৃত করা হয়। জানেন সেই পুরস্কারের মূল্য কত? ১০ হাজার ডলার। অর্থাত্, ভারতীয় মূল্যে প্রায় সাড়ে ছ’ লক্ষ টাকা। উরুগুয়ের বাসিন্দা ওই ছাত্রের নাম ইজিকুয়েল পেরেরা।
চলতি বছরের গোড়ায় গুগ্ল তাদের এই ভিআরপি চালু করেছে যার মাধ্যমে গুগ্ল-এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ত্রুটি ঠিকঠাক ধরিয়ে দিতে পারলেই মিলবে মোটা অঙ্কের পুরস্কার। জানা গিয়েছে, এ ক্ষেত্রেও ইজিকুয়েলকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি নিজেদের ত্রুটিও শুধরে নিয়েছে গুগ্ল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy