Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পঞ্চশীলে আস্থা রেখে শান্তি চায় চিন

আজ শিয়ামেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্প্রীতির মূলমন্ত্র পঞ্চশীল থেকে শিক্ষা নিয়েই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাঁর দেশ।

একসঙ্গে: শি চিনফিঙের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। শিয়ামেনে। ছবি: পিটিআই।

একসঙ্গে: শি চিনফিঙের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। শিয়ামেনে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:২৩
Share: Save:

লাগাতার আড়াই মাস ধরে ডোকলাম নিয়ে সংঘাতের পরে এ বার পঞ্চশীলের মন্ত্রোচ্চারণ করল চিন। পাশাপাশি ডোকলামের নাম না করেও ভারত জানাল, ‘সাম্প্রতিক ঘটনা’ এড়াতে দু’দেশের সীমান্ত সমন্বয় বাড়ানোর ব্যাপারে এক মত হয়েছে দু’দেশ। ইঙ্গিত স্পষ্ট, দীর্ঘদিনের তিক্ততা ঝেড়ে ফের ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে আলোচনা শুরু হতে চলেছে।

আজ শিয়ামেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং জানিয়েছেন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্প্রীতির মূলমন্ত্র পঞ্চশীল থেকে শিক্ষা নিয়েই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তাঁর দেশ। চিনা সরকারি সংবাদসংস্থা শিনহুয়ার বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘ঠিক রাস্তায়’ ফেরানোর জন্য মোদীকে ডাক দিয়েছেন শি।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিয়েও চাপ দেবে ভারত

কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ডোকলামের ছায়া থেকে বেরিয়ে এসে বাণিজ্য সহযোগিতার রাস্তা খোঁজার চেষ্টা এ দিন শুরু হয়েছে ব্রিক্‌স-এর পার্শ্ববৈঠকের মঞ্চ থেকে। যা ভারতের জন্য নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। পাশাপাশি চিনেরও স্বার্থ রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশ্নে উচ্চাকাঙ্খী চিনের কাছে ভারতের বাজার যথেষ্ট আকর্ষণীয়। পাশাপাশি, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়ার মতো দেশকে কৌশলগত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে বেজিংকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে, যাতে এর ফলে তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ না মার খায়। গত কাল ব্রিক্‌স ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগার বিষয়টি তাই একদিকে যেমন ভারতের কূটনৈতিক জয়, তেমনই তা চিনেরও একটি পরিবর্তিত কৌশল।

এ দিন মোদী-শি আলোচনায় ডোকলামের মতো ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে এড়ানো যায়, তা নিয়ে একমত দু’দেশ। ডোকলাম শব্দটি উচ্চারণ না করলেও জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আজ আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের সরকারই একমত হয়েছে যে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ালে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি এড়ানো যেতে পারে। ভারত এবং চিন এই দুই বড় শক্তির মধ্যে মতপার্থক্য আসতেই পারে। কিন্তু পারস্পরিক আস্থা এবং প্রয়াস থাকলে তা মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE