প্রতীকী ছবি।
চিনা সংবাদপত্রে আবার খোঁচা ভারতকে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরাতে ভারতের এখন একটা শত্রু প্রয়োজন, তাই চিনের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত বিরোধে জড়াচ্ছে ভারত। গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এমনই লেখা হয়েছে। চিন কখনওই ভারতের জন্য বিপজ্জনক নয় এবং ভারতের সরকার সে কথা ভাল ভাবেই জানে বলে চিনা সংবাদপত্রের দাবি। নিজেদের জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার তাগিদে ভারত চিনকে ‘কাল্পনিক শত্রু’ বানাচ্ছে বলে সেখানে লেখা হয়েছে।
লং শিংচুন নামে এক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদের লেখা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের ভিত্তিহীন চিন-বিপদ তত্ত্বকে বোঝা খুব শক্ত।’’ শিংচুন লিখেছেন, ‘‘ভারতের সম্ভবত এখন একটা শত্রু প্রয়োজন, কাল্পনিক হলেও চলবে। বহু জাতি, বহু ধর্ম, বহু ভাষা, অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাত এবং প্রবল বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি জাতীয় ঐক্যকে ভেঙে দিতে চাইছে, সে দিক থেকে নজর ঘোরাতে ভারতের একটি বহিঃশত্রু প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন: চিনকে ভাঙার চেষ্টা মেনে নেব না, ফের হুঙ্কার শি চিনফিং-এর
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যে দীর্ঘ দিনের সঙ্ঘাত, সরকারি ব্যর্থতার দিক থেকে নজর ঘোরাতে সেই সঙ্ঘাত এখন আর খুব একটা কার্যকরী নয় বলে চিনা সংবাদপত্র কটাক্ষ করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারত যে হেতু বড় শক্তি হয়ে উঠেছে, সে হেতু পুরনো শত্রু পাকিস্তানকে দিয়ে আর কাজ হচ্ছে না।’’ লং শিংচুন লিখেছেন, চিন বড় শক্তি হওয়ায় এবং ভারত ও চিনের মধ্যে ১৯৬২-র যুদ্ধের তিক্ত স্মৃতি থাকায়, চিনকে এখন খুব বড় বিপদ হিসেবে দেখানো ভারতের সরকারের পক্ষে সহজ।
আরও পড়ুন: বিপুল ভোটে জিতে নওয়াজের গদিতে বসলেন আব্বাসি
ডোকলামে সেনা পাঠিয়ে ভারত অত্যন্ত ভুল করেছে বলে চিনা সংবাদপত্রটিতে লেখা হয়েছে। ভারত-ভুটান-চিন সীমান্তে বেজিং পরিকাঠামো বাড়াতে শুরু করলে শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে ভারত যে দাবি করছে, তাকেও নস্যাৎ করে চিনা কাগজে লেখা হয়েছে, শিলিগুড়ি করিডরকে দেখতে চিকেন’স নেকের মতো, কিন্তু আসলে ওটা চিকেন’স নেক নয়। কারণ ওই অঞ্চল যদি চিন কব্জা করেও নেয়, তা হলেও ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ছিন্ন করা যাবে না। বলছে গ্লোবাল টাইমস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy