চাপাতিধারী ডাকাতদের রুখলেন স্টিলের চেয়ার দিয়ে! মধ্যবয়সী এক মহিলার বাহাদুরিতে চম্পট দিতে বাধ্য হল ডাকাতেরা। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের চেশায়ার কাউন্টির উইনসফোর্ডে সাজানোগোছানো ছোট্ট দোকান হেমালতা পটেলের। গত সপ্তাহে নিজেদের দোকানে সশস্ত্র ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই জিতে প্রশংসা কুড়িয়ে নিচ্ছেন ৫৬ বছরের হেমালতা। চেশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহ দুই কিশোর ডাকাতকে পাকড়াও করেছে তারা।
গত ৩০ বছর ধরে স্বামী ধীরুভাই পটেলের সঙ্গে ব্রিটেনে বসবাস করছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হেমালতার। উইনসফোর্ডে ওই দোকান দিয়েছিলেন ১৯৮৪-এ। ঘটনার সময় দোকানের পিছন দিকে ছিলেন হেমালতার ৬৩ বছরের ধীরুভাই এবং তাঁদের দুই নাবালিকা নাতনি। আর দোকানের ভিতরে একাই কাজ করছিলেন হেমালতা। সে দিনের ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, মুখোশ পরা দুই ডাকাত হাতে চাপাতি নিয়ে দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করে। তিনি বলেন, “সে সময় দোকান একেবারে ফাঁকা ছিল। চাপাতি হাতে ওই দু’জন দোকানে ঢুকেই আমার সামনে এসে চেঁচাতে খাকে।” ওই অস্ত্রধারীদের দেখে তিনি যে একেবারে ডরাননি তার প্রমাণ মিলল হেমালতার কথাতেই। তিনি বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম, ‘যদি কোনও জিনিসের প্রয়োজন থাকে তা চেয়ে নাও!’ কিন্তু, কে শোনে কার কথা! দোকানের কাউন্টারে চাপাতি দিয়ে দমাদ্দম মারতে শুরু করল। কাউন্টারে ভাঙচুর শুরু হতেই আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল।” হেমালতা জানিয়েছেন, বয়স্ক কাস্টমারদের বিশ্রামের জন্য দোকানের এক কোণেই একটা স্টিলের চেয়ার রাখা ছিল। তিনি বলেন, “সেই চেয়ারটা তুলেই তাড়া করে ওই দু’জনকে দোকানের বাইরে বের করে দিই আমি।” দোকানে রাখা সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা ঘটনাটাই ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চেয়ার তুলে হেমালতা ডাকাতদের উপর চেঁচাচ্ছেন, ‘যা চেয়েছ, তাই হবে, আমি আসছি তোমাদের ধরতে।’ তিনি বলেন, “এত বছর ধরে এখানে রয়েছি। কিন্তু, কখনও এ রকম কোনও ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি।”
আরও পড়ুন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy